English Version
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০১৬ ১৯:২২

নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত শিশুসহ পাঁচজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত শিশুসহ পাঁচজন
৬৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট চলাকালে সংঘর্ষে-সহিংসতায় আজ গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে।
 
এদের মধ্যে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন, যশোর সদর উপজেলায় দু'পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ফেরিওয়ালা এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে দু'পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে এক শিশু নিহত হয়।
 
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুসারে, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নের চর বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছু আগে দুই সদস্য প্রার্থী শাহেদ ও জামালের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে সানাউল্লাহ ও ইব্রাহিম মারা যায়। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে জামাল নিহত হন। সংঘর্ষে আল-আমিন নামে পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুইপক্ষের গুলিবিনিময়ে তিনজন নিহত এবং পুলিশ সদস্য আল-আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
 
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দু'পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মো. শুভ কাজী (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়। নিহত শুভ হযরতপুর ইউনিয়নের হালিম কাজীর ছেলে। সে মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
 
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হোসেন বলেন, 'নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুইপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে শিশুটি মারা যায়।' এদিকে যশোর সদর উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গোলাপ (৫৫) নামে এক ফেরিওয়ালা নিহত হন। নিহত গোলাপ সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোট চলাকালে সদস্য প্রার্থী বিল্লাল ও শান্তির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হলে গোলাপের মাথায় গুলি লাগে। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।