English Version
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৬ ২৩:৩৫

আইনমন্ত্রীকে হেফাজতের স্মারকলিপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আইনমন্ত্রীকে হেফাজতের স্মারকলিপি

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম। রোববার (২৭ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে সচিবালয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর আহবায়ক আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আপনি নিশ্চয়ই আবগত আছেন যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ক- এ উল্লেখ রয়েছে ‘‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবে।’’  দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বর্তমান রয়েছে। একবার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রিট হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেশের অধিকাংশ জনগণের চিন্তা চেতনা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। সংবিধানে সন্নিবেশিত রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম- একটি সেটেল্ড বিষয়। কিন্তু সম্প্রতি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগে দায়েরকৃত একটি রিট সচল করে শুনানির জন্যে হাইকোর্টের কার্যতালিকাভূক্ত করা হয়েছে। নতুনকরে এ ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে আসার বিষয়টি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে।

আরও বলা হয়েছে, এক সাগর রক্ত আর অসীম ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষাণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম হচ্ছে ইসলাম যা একান্ত বাস্তবতা। এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করা বা পাশ কাটানোর কোন সুযোগ নেই। আর জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি হচ্ছে সংবিধান। দেশে বিভিন্ন ক্ষুদ্্র জনগোষ্ঠির আলাদা ভাষা থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষের ভাষা বাংলা হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রভাষা যা সংবিধান স্বীকৃত।  সুতরাং ৯২ভাগ জনগণের ধর্ম ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম যা আমাদের সংবিধানের যথার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে কারো কারো মাথা ব্যাথার বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

সুতরাং বাংলাদেশ বর্তমান সংবিধানের সংশোধন অযোগ্য প্রথমভাগের ২ক অনুচ্ছেদে বর্তমান রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে শুনানির জন্যে সচল রিটটি মোকাবেলার জন্যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের পক্ষে সরকারের আইন মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত জরুরি। আমরা আশা করি সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে রিটটি বাতিলে আদালতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞপ্তি।

এসময় হেফাজত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাও. আবু জাফর কাসেমী, মাও. মুজিবুর রহমান হামিদী, মাও. ফজলুল করীম কাসেমী, মাও. আহমদ আলী কাসেমী, মাও. মুফতী ফখরুল ইসলাম, মাও. শেখ গোলাম আজগর, মাও. শরীফুল্লাহ, মাও. সুলতান মহিউদ্দীন প্রমুখ।