English Version
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৬ ১২:০৯

‘জাতি জানুক আদালত কত কঠোর হতে পারে’

ষ্টাফ রিপোর্টার
‘জাতি জানুক আদালত কত কঠোর হতে পারে’

ঢাকা: দুই মন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘সারা জাতিকে বার্তা দেয়ার জন্যই আদালত অবমাননা মামলায় সরকারের দুই মন্ত্রীকে তলব করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি না হয়। জাতি জানুক, দেশের সর্বোচ্চ আদালত কতো কঠোর হতে পারে।’   আজ রোববার (২৭ মার্চ) সকালে আদালত অবমাননার অভিযোগে দুই মন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।   এস কে সিনহা আরো বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের সকল বিচারক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করেছি এবং এ বিষয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করেছি।   তিনি বলেন, গত ৫ মার্চ দুই মন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তাদের সঙ্গে অনেকের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামালায় তলব করলাম না। কারণ আমরা আদালত অবমাননার মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাই না।   প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত তার কর্তৃত্ব ও মর্যাদা বজায় রাখতে কখনো মাথা নত করেনি, আর করবেও না।’

উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আদালতে উপস্থিত হলেও সরকারি কাজে বিদেশে থাকা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছিলেন না। ওই দিন তাঁদের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি মুলতবি করে ২০ মার্চ পুনর্র্নিধারণ করেন। ২০ মার্চ দুই মন্ত্রীই আদালতে হাজির হন। তবে ওই দিন কামরুল ইসলামের লিখিত ব্যাখ্যা আদালত গ্রহণ করেননি। নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আদালত কামরুল ইসলামকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময় দেন। ২৪ মার্চ নতুন করে ব্যাখ্যা জমা দেন খাদ্যমন্ত্রী।

৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ফাঁসির আদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনরায় শুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন।