English Version
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০১৬ ০৮:৫৭

আতঙ্কের মধ্যে ৩৪ জেলায় ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

ষ্টাফ রিপোর্টার
আতঙ্কের মধ্যে ৩৪ জেলায় ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

হামলা-ভাঙচুর, সংঘর্ষ-গোলাগুলি, ভয়-ভীতি, হুমকি-ধামকি, হতাহত আর নানা শঙ্কার মধ্যে দিয়ে দেশের ৩৪টি জেলার ৭৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।

এটি স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তরের সবচেয়ে বড় নির্বাচন হওয়ায় দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মাঝে যে ধরনের উৎসবের আমেজ থাকার কথা থাকলেও ক্ষমাতসীন দলের নেতাকর্মীদের প্রভাবের কারণে এবং নির্বাচন কমিশনের নিলিপ্ততায় তা অনেকাংশে ম্লান হয়েগেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ব্যাপক হারে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশের ভিন্নস্থানে তাই ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আনন্দ উৎসবের পরিবর্তে অজানা ভয় ও আতঙ্ক  বিরাজ করছে।

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ (সিইসি) ভোটপূর্ব সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচনী সহিংতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি খোলাখুলিই বলেছেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতা আমরা কমিয়ে আনতে পারছি না। কারণ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে কাঙ্খিত সহযোগিতা পাচ্ছি না।’

সিইসি বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে ভোট কারচুপি ও সহিংসতা হলে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়ী হবেন।’ তারপরও প্রার্থী ও ভোটাররা আশা করছেন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতার সবটুকুই প্রয়োগ করবে।

এদিকে, নির্বাচনের কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায় মাঠে টহল শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক লাখ ৮০ হাজার সদস্য। একই সঙ্গে ৩৪ জেলার ১০১টি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি বিচারিক হাকিমরাও অপরাধ তদারকিতে মাঠে রয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৩৪ জনসহ মোট ৩৬ হাজার ৪৫৬ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে প্রায় সাত হাজার ৮৭টি কেন্দ্রে এক লাখ ২১ হাজার ১৯৫ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।