English Version
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৬ ১৭:২৩

‘ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাও উপেক্ষা করবে বিজিবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাও উপেক্ষা করবে বিজিবি’

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর আজিজ আহমেদ বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও দ্বিতীয় দফার পৌরসভা নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কোনো প্রার্থীর হয়ে বিজিবি সদস্য কাজ করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতার স্বার্থে প্রয়োজনে বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাও উপেক্ষা করবে বলে জানান তিনি।

রোববার সকালে বিজিবির সদর দপ্তরে ১২তম এসএ গেমসে বিজিবি সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিজিবি প্রত্যেকটি টিমের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। তবে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট যদি কোনো প্রার্থীর হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন তবে বিজিবি তা সমর্থন দেবে না। সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করবে এবং সেইভাবেই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বিজিবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কোথাও ‍যদি সামান্যতম  কোনো অভিযোগ পাই যে, আমাদের কোনো টিম লিডার কারও পক্ষে কাজ করছে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতীতে আমরা কোনো দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি এমন অভিযোগ বিজিবির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আসেনি।’

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘ছয়’শর অধিক ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কেন্দ্রের জন্য দুশ’র অধিক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। কোন ইউনিয়ন পরিষদে কতটুকু ফোর্স রাখা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী ফোর্স পাঠানো হয়েছে।’

আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আজ ভোর থেকে প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। আশপাশের প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র ও এলাকাগুলোতে তারা টহলপূর্বক পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেসব এলাকায় যেসব বাহিনী আছে তাদের সঙ্গে বিজিবি সমন্বয়ক করে কাজ করছে। এ কাজ আজকে ও আগামীকাল রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ নির্বাচনে বিজিবি মোবাইল ও স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০০৯ সালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আগে আমাদের অনেক প্রশিক্ষিত খেলোয়ার ছিল। এখন আবার অনেকে চাকরিতেও নেই। প্রশিক্ষিত খেলোয়ার তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। এজন্য তাদের অনেক সাপোর্ট দিতে হয়। এখন যারা খেলছে তাদের তৈরি করতে একটু সময় লাগবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুস্তি ও হ্যান্ডবল খেলায় বিশেষ অবদান রাখায় বিজিবির ৪২ কৃতি খেলোয়ারের হাতে ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন মহাপরিচালক আজিক আহমেদ।