English Version
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৬ ১৬:৩১

চিরনিন্দ্রায় গেলেন রফিক আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
চিরনিন্দ্রায় গেলেন রফিক আজাদ
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এবং বহু কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা কবি রফিক আজাদ (ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। কবির ভাতিজি জামাই মো. রোহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
‘ভাত দে হারামজাদা’ খ্যাত এই কবি শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
 
জানা যায়, গত জানুয়ারিতে রফিক আজাদের ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ হলে তাকে প্রথমে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর তাকে আনা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। প্রায় দুই মাস ধরে এই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন তিনি।
 
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদ ১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার গুণী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রফিক আজাদ যখন মায়ের গর্ভে তখন অকাল প্রয়াত বড় বোন অনাগত ছোট ভাইয়ের নাম রেখেছিলেন ‘জীবন’। রফিক আজাদ ‘জীবনের’ই আরেক নাম।
 
জনপ্রিয় কবি রফিক আজাদের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে ‘অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে, নির্বাচিত কবিতা, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া, পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি, বিরিশিরি পর্ব।
 
ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তাকে একুশে পদক দেয়া হয়। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর পাস করে কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতার মাধ্যমে।
 
রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা উত্তরাধিকার -এর সম্পাদক ছিলেন। রোববার পত্রিকাতেও রফিক আজাদ নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। তিনি টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন। রফিক আজাদের প্রেমের কবিতার মধ্যে নারীপ্রেমের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর সহকারী ছিলেন৷