English Version
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৫৪

ভাড়াটিয়াদের তথ্য না দিলে বাড়ির মালিকদের দণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভাড়াটিয়াদের তথ্য না দিলে বাড়ির মালিকদের দণ্ড

ভাড়াটিয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় না দিলে দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে বাড়ির মালিকদের।

আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের ভাড়াটিয়া ও বাড়ির কর্মচারীর তথ্যসংবলিত নির্ধারিত ফরম নিকটবর্তী থানায় জমা দিতে হবে।

তথ্যসংবলিত ফরম সংগ্রহে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাকেও জবাবদিহি করতে হবে। এছাড়া বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগেই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য জানতে গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তর থেকে রাজধানীর ৪৯ থানায় এ সংক্রান্ত কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের জন্য ডিএমপি কমিশনারদের নির্দেশ দেন।

অবশ্য আগে থেকেই বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করার এ নিয়ম আছে। কিন্তু প্রায় এলাকায়ই তা মানা হয় না। কোনো কোনো এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করা হতো অনিয়মিতভাবে। বাড়ির মালিকদের কাছে তথ্য চেয়ে ফরম সরবরাহ করা হলেও সেগুলো ফের সংগ্রহে পুলিশের ছিল ব্যাপক অনাগ্রহ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে ডিএমপি। থানাগুলোকে তথ্য সংগ্রহে দেওয়া হচ্ছে কঠোর নির্দেশনা। এখন থেকে প্রতি মাসেই এ সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে থানাগুলোকে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, ভাড়াটিয়া ও বাড়ির কর্মচারী সম্পর্কে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে শিগগিরই গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা। সেখানে এর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হবে। এ বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য- ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কাজের স্বার্থে বা তদন্তের স্বার্থে জনগণকে সহায়তা করতে হবে পুলিশকে তথ্য দিয়ে। এ ধারা অনুযায়ী পুলিশ যে-কারও কাছে তার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট তথ্য চাইতে পারে। পাশাপাশি জনগণকেও পুলিশকে এ বিষয়ে সহায়তা করতে হবে। কেউ তথ্য দিতে অসহযোগিতা করলে বা আপত্তি জানালে পুলিশ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।