English Version
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:৪৮

পুলিশে যেন জামাত-শিবির-জঙ্গিরা না আসতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশে যেন জামাত-শিবির-জঙ্গিরা না আসতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা লিপ্ত, যারা অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত, তারা যেন একটা সুশৃঙ্খল বাহিনীতে আসতে না পারে, এটা দেখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। সেই জামাত-শিবিরের লোক পুলিশ বাহিনীতে ঢোকার ব্যাপারে সচেতন হবে, এটাই আমি আশা করি।

বুধবার সংসদ অধিবেশনে তরীরকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।এছাড়াও তিনি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতার আন্দোলনের সময় পুলিশ বাহিনীর উপর হামলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলের এই নেতা প্রশ্নে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আদর্শের লোকজন পুলিশ বাহিনীতে ঢুকছে। উত্তরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশে নিয়োগের একটি নীতিমালা থাকার উল্লেখ করে তাতে সরকারের অযাচিত কোনো হস্তক্ষেপ না করার পক্ষে অবস্থান জানান প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী যখন লোক নিয়োগ করবে, সেখানে দায়িত্বে থাকে তাদের কর্মকর্তারা। এখানে আমরা ঠিক হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা আশা করি, তারা তা দেখবে।

দুই বছর আগে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী নাশকতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানো, গত বছর বিএনপি-জামাত জোট যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সে সময় কিন্তু পুলিশ সদস্য রেহাই পায়নি। পুলিশকেও তারা মেরেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। তাদের হাতে ১৮-১৯ জনের পুলিশ নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের নিরাপত্তা জোরদার করতে নতুন ১৩ হাজার ৮৮৮টি পদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্য সাত হাজার ১৩৯টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী। পুলিশে জনবল নিয়োগ যেন যথাযথভাবে হয়, সে দিকে নজর রাখতে সংসদ সদস্যদেরও পরামর্শ দেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সকল এমপিদের বলতে চাই, নিজ নিজ এলাকায় যদি এ ধরনের কেউ পুলিশ বাহিনীতে ঢুকে থাকে, সে খবর গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে দিলে নিশ্চয়ই তারা সে বিষয়টি যাচাই করে দেখবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।