English Version
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:১৩

“ডিজিএফআই এর সঙ্গে উনার কী সখ্যতা ছিল?” : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
“ডিজিএফআই এর সঙ্গে উনার কী সখ্যতা ছিল?” : প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

 

সোমবার মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ডিজিএফআই এর সঙ্গে উনার কী সখ্যতা ছিল? উনাকে যা ধরিয়ে দিতেন তাই হুবহু ছাপিয়ে দিতেন। যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হচ্ছে, ঠিক সেভাবে একদিন তাদেরও বিচার হবে।”

তাকে দুর্নীতিবাজ বানানোর চেষ্টায় ওই সম্পাদকরা উঠে পড়ে লেগেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, দুটি পত্রিকা ডিজিএফআইয়ের লিখে দেওয়া মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে সে সময় রাজনীতি থেকে আমাকে এবং খালেদাকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম আমাকে দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছিলেন। তিনি স্বীকারও করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্য কখনও চাপা থাকে না। মাহফুজ আনামকে একটা কথাই বলব- অনেক চেষ্টা করেছেন। আপনার পিতৃতুল্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও দুর্নীতিবাজ বানাতে পারেনি। আর আপনি…। ২০০৭ সালে এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরিতে ষড়যন্ত্রে জড়িতদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ডিজিএফআই দেশ চালাবে না, দেশ চালাবে সরকার প্রধান।

বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়; বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিবিদকে সে সময় গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই সে সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন আলোচনায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল’।

তার ওই স্বীকারোক্তির পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতারাও ডেইলি স্টার ও পত্রিকাটির সম্পাদকের ওই ভূমিকার সমালোচনায় মুখর হন। জয় নিজেও গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেইসবুকে এক পোস্টে মাহফুজ আনামের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কয়েক অর্ধশতাধিক মামলা হয় মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে।