English Version
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৩৩

মাতৃভাষা দিবসে খুলে দেয়া হলো সীমান্ত; দুই বাংলার মিলনমেলা

অনলাইন ডেস্ক
মাতৃভাষা দিবসে খুলে দেয়া হলো সীমান্ত; দুই বাংলার মিলনমেলা

 

ভাষা এক, সংস্কৃতি এক শুধু মাঝখানে নোংরা রাজনীতির কাঁটাতার! তাই বলে কি থেমে থাকবে মিলনমেলা? আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কাঁটাতারের বাধা পেরিয়ে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো দুই বাংলার মানুষ।

আজ রোববার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য কাঁটাতারের বেড়া খুলে দেয়া হয়। দুই পারের কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-রাজনীতিবিদসহ সাধারণ বাঙালির পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর। শূন্যরেখায় স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ ও পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে দুই বাংলার প্রতিনিধিদের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যে শুরু হয় দিনের আয়োজন।

এরপর পেট্রাপোল বন্দরের রপ্তানি টার্মিনালে ভারতীয় মঞ্চ এবং ইমিগ্রেশন ভবনের সামনে নির্মিত বাংলাদেশের মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুই দেশের শিল্পীরা পরস্পরের মঞ্চে নাচ, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদি, ফকির আলমগীর, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী ও বাউল সাগরসহ অর্ধশতাধিক শিল্পী বেনাপোল ও বনগাঁ পৌরসভার আয়োজনে অংশ নেন।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে পা রাখেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি। তার সঙ্গে ছিলেন অনগ্রসর জাতি কল্যাণমন্ত্রী উপেন্দ্র বিশ্বাস, লোকসভার সাংসদ শ্রীমতি মমতা ঠাকুর, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল, বিধায়ক বিশ্বজিত দাস ও বনগাঁ পৌর প্রধান শংকর আঢ্যসহ ওপার বাংলার রাজনীতিবিদ-কবি-শিল্পী-সাংবাদিক-সাহিত্যিকরা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ-কবি-শিল্পী ও সাংবাদিকরা তাদের স্বাগত জানান। 

‘ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা-পদ্মা ভাষা ও মৈত্রী সমিতির’ উদ্যোগে ২০০২ সাল থেকে সীমান্তবর্তী ২০টি সংগঠন সীমান্তের শূন্যরেখায় একসঙ্গে মাতৃভাষা দিবস পালন শুরু করে।পরিসর বাড়ায় পরবর্তীতে এ দিন উপলক্ষে সীমান্তের গেট কয়েক ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়।

একসঙ্গে একুশ উদযাপনকে গর্বের বিষয় অভিহিত করে হানিফ বলেন, দুই দেশের মৈত্রীতে এটা অনুপ্রেরণা যোগাবে।

পৃথিবীর সব বাঙালিকে একুশের গৌরবের উত্তরাধিকারী আখ্যায়িত করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, একুশের ব্যাপ্তি শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, অনেক বিস্তৃত।ভাষার জন্য সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছেন এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও নেই। এ কারণে বাঙালি আজ বিশ্বের দরবারেও গর্বিত।