English Version
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:২৫

বাঙালির সবকিছুরই আলাদা ঐহিত্য রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঙালির সবকিছুরই আলাদা ঐহিত্য রয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি হিসেবে আমাদের যে সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, সবকিছুরই একটা আলাদা ঐহিত্য রয়েছে। একটা বৈশিষ্টি রয়েছে, স্বকীয়তা রয়েছে। আমাদের তা ধারণ করতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে তা শিক্ষা দিতে হবে। সেই সাথে সাথে ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠাতে তিনি আরও বলেন, বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়’ ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবছর ১৬ জনকে একুশে পদক দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৪ জন নিজে উপস্থিত ছিলেন। আর মরণোত্তর পদক পাওয়া দু'জনের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে একুশে পদক ও সম্মানীর চেক তুলে দেন।

পদকবিজয়ীরা হলেন—ভাষা আন্দোলনে বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ডা. সাঈদ হায়দার, প্রায়ত সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ড. জসিম উদ্দিন; শিল্পকলায় (টিভি ও চলচ্চিত্র) বেগম জাহানারা আহমেদ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পি বেগম শাহীন সামাদ, নৃত্যশিল্পি আমানুল হক; সাংবাদিকতায় তোয়াব খান, গবেষণায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ্, মংছেন চীং মংছিন এবং ভাষা এবং সাহিত্যে জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, ড. হায়াৎ মাহমুদ ও  হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

পদকপ্রাপ্তদের স্বর্ণের তৈরি ৩৫ গ্রাম ওজনের পদক, দুই লাখ টাকা, সম্মাননাপত্র এবং একটি রেপ্লিকা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে তখনই প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব হবে যখন এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।… আমি সত্যিই খুব আশাবাদী, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটা অবস্থান তৈরি করেছে।

বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মর্যাদা থাকার এবং যার যার ধর্ম সম্মানের সঙ্গে পালন করতে পারার অধিকারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।