English Version
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:৩৬
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগে ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জে

৮৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত সরকারের

পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৮৬.৮১৭৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলায় ৭০.৯৪৩৬ একর ও নারায়নগঞ্জ জেলায় ১৫.৮৭৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১০৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ সভায় মোট ১৯২.১৭ একর জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পভুক্ত ঢাকা অংশের জমিতে তিনটি মসজিদ, একটি স্কুল রয়েছে। কোনো কবরস্থান নেই। অধিগ্রহণের ফলে আটশতাধিক ঘরবাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে কোনো জনরোষ সৃষ্টি হবে না।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অংশের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ জমিতে কোনো উপাসনালয়, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। প্রস্তাবিত ভূমিতে শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সভায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার আন্তরিক রয়েছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপন হলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ হবে।’

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

সভায় ‘রাজউকের অনুকূলে কুড়িল পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পার্শ্বে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় জোয়ার সাহারা, বরুয়া, ডুমনি ও মাস্তুল মৌজায় ৯১.৬৬১৭ একর ভূমি অধিগ্রহণেরর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় ভূমি সচিব মেছবাহ উল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূইয়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আজমল হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আরিফ-উর-রহমান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।