English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:৩৩

২০ হাজার আবেদনকারীর পাসপোর্ট আটকা থাই দূতাবাসে

অনলাইন ডেস্ক
২০ হাজার আবেদনকারীর পাসপোর্ট আটকা  থাই দূতাবাসে

থাইল্যান্ডের ভিসার আবেদন করে পাসপোর্টই ফেরত পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। গত দুই মাস ধরে ঢাকার থাই দূতাবাসে পাসপোর্ট আটকে আছে প্রায় ২০ হাজার আবেদনকারীর। দীর্ঘদিন পাসপোর্ট আটকা থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী, পর্যটক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা। এখন তারা থাইল্যান্ড কেন অন্য কোনো দেশেও যেতে পারছেন না। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েছেন চিকিত্সা ভিসার আবেদনকারীরা। পাসপোর্ট আটকে পড়ায় তারা অন্য দেশেও চিকিত্সার জন্য যেতে পারছেন না। ভিসা না দেয়া ও পাসপোর্ট আটকে রাখার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানায়নি ঢাকার থাই দূতাবাস। এমনকি থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসের জন্য নির্দিষ্ট এজেন্ট ভিএফএস গ্লোবালও জানাতে পারছে না ভিসা ও পাসপোর্ট ফেরত না দেয়ার কারণ। রাজধানীর বেশ কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা জানান, গত ডিসেম্বরে থাই দূতাবাসে নতুন একজন ভিসা কর্মকর্তা এসেছেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানান, সাধারণত চার-পাঁচ কর্মদিবসেই ভিসা প্রক্রিয়া শেষ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে যত পাসপোর্ট ভিসার জন্য জমা দেয়া হয়েছে তাঁর মধ্যে সব মিলিয়ে ১০ শতাংশ পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ পাসপোর্টই আটকা পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে ভিসার আবেদন করতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। জানা যায়, প্রতিদিন থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য গড়ে পাঁচশ’র বেশি আবেদন জমা পড়ে ভিএফএস গ্লোবাল সেন্টারে। এই হিসেবে গত দুই মাসে ২০ হাজারের বেশি পাসপোর্ট জমা পড়েছে। যার ৯০ ভাগই আটকা। ভিএসএফ’র কর্মকর্তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর মিলছে না। কখনো বলছেন প্রসেসিংয়ের কাজ হচ্ছে, কখনো বলছেন তদন্ত চলছে। তবে অনেকেই বলছেন, দূতাবাসে নতুন ভিসা কর্মকর্তা যোগদানের পর সমস্যা প্রকট হয়েছে। থাই ভিসা নিয়ে মানুষের এই ভোগান্তির প্রেক্ষাপটে অনেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। মন্ত্রণালয় অনেক ক্ষেত্রে থাই দূতাবাসে সুপারিশ করে দ্রুত ভিসা প্রাপ্তি বা পাসপোর্ট ফেরতের চেষ্টা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, থাই ইমিগ্রেশন বিভাগ ভিসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। যেকোনো ভিসার আবেদন ব্যাংকক থেকে অনুমোদন দেয়া হয়। আবেদনের প্রতিটি কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কনস্যুলার শাখায় নতুন দুইজন কর্মকর্তা ভিসা প্রক্রিয়া সম্পাদনের কাজ করছে। তারা নতুন পদ্ধতিতে ভিসা প্রক্রিয়া করতে হিমশিম খাচ্ছেন। থাই দূতাবাসে গত তিন মাস ধরে কোনো রাষ্ট্রদূত নেই। নতুন রাষ্ট্রদূতের মার্চে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন কাউন্সিলর চার্জ দ্য এফেয়ার্সের দায়িত্বে আছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। -