English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৯:২৬

পরিচয়পত্র ভুল সংশোধনে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, সত্য নয়: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিচয়পত্র ভুল সংশোধনে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, সত্য নয়: আইনমন্ত্রী

জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড ভোগান্তি হচ্ছে— এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

দশম সংসদের নবম অধিবেশনে মঙ্গলবার বিকেলে প্রশ্নোত্তর পর্বে নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।

আনিসুল হক জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনে যেসব নাগরিক সংশোধনের সপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য দলিলাদি দাখিল করতে পারেন না, সেসব ক্ষেত্রে সময় লাগে। অনেকক্ষেত্রে তা সংশোধন করা সম্ভব হয় না। ওইসব নাগরিক ভোগান্তির অভিযোগ করেন। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড ভোগান্তি হচ্ছে— এ অভিযোগ সত্য নয়।

আনিসুল হক আরও জানান, বেশির ভাগ আবেদনই জন্ম তারিখ, নিজের নাম, পিতা-মাতার নামের আমূল পরিবর্তনজনিত বিধায় প্রমাণস্বরূপ সংশ্লিষ্ট দলিলাদির প্রয়োজন হয়। যারা তা দিতে পারেন না তাদের সিদ্ধান্ত পেতে সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সও কমবেশি করার দাবি আসে। বর্তমানে মানুষের সুবিধার জন্য স্ব স্ব এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা ও সংশোধিত কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।

এছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কার্যালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিসেস ছাড়াও প্রতিটি থানা নির্বাচন অফিসে বেশ কিছু দিন থেকে এ সেবা প্রদান শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, ১৫ ডিসেম্বর নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট জারির কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮টি আবেদন জমা পড়ে। এদের অধিকাংশই বয়স সম্পর্কিত। এর মধ্যে এক লাখ ২৩ হাজার ৩৩২টি আবেদনের তথ্যাদি ইতোমধ্যে সংশোধন করে ভোটারদের সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে।