English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:৫৭

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে ‘জনস্বার্থে’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ও সব মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর। ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর স্বাক্ষরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়।

কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করে চিফ প্রসিকিউটর সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং ও হোসেন তরফদারসহ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হলো।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। প্রধান প্রসিকিউটর ওই চিঠিতে লিখেছেন, ‘জনস্বার্থে’ এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই আদেশ কার্যকর হয়েছে।

‌এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, চিফ প্রসিকিউটরের ক্ষমতা রয়েছে উনি যে কোনো প্রসিকিউটরকে মামলা দিতে পারেন, মামলা থেকে প্রত্যাহার করতে পারেন। উনি সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে মামলা থেকে তাকে প্রত্যাহার করেছেন। তবে মোহাম্মদ আলীর অপরাধের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত গণমাধ্যমে আসা খবরে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী যে দুটি মামলার তদন্তে ছিলেন, তার একটিতে এক আসামির ‘জামিনের পক্ষে’ কাজ করছিলেন তিনি। মোহাম্মদ আলী অবশ্য একটি পত্রিকার কাছে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কয়েজন সহকর্মী বিদ্বেষপ্রসূতভাবে তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনেছেন।  

এর আগে ২০১৪ সালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ নিজের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরির সন্দেহে শাহবাগ থানায় জিডি করেন।এরপর ওই ঘটনার ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য’ মোহাম্মদ আলীও পাল্টা জিডি করেন, কারণ চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের একই কক্ষে তারা অফিস করেন এবং ওই কক্ষের কম্পিউটার থেকেই তথ্য চুরির সন্দেহের কথা বলেছেন তুরিন।