English Version
আপডেট : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:০১

রামপাল প্রকল্প বাতিল দাবিতে ফের লংমার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রামপাল প্রকল্প বাতিল দাবিতে ফের লংমার্চ

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখে ফের লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

শনিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ জানান, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আগামী ১০ থেকে ১৫ মার্চ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরবন অভিমুখী লংমার্চ করবে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে প্রতিবাদ ও দাবি সমাবেশের আয়োজন করা হবে। পরবর্তীতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাথে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হবে। এর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে একই দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ করেছিল এ সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আনু মুহাম্মদ বলেন, একটি গোষ্ঠী শুধু মুনাফা অর্জনের উদ্দেশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে সুন্দরবন ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। আর এতে ক্ষমতাসীনরাও ইন্ধন যোগাচ্ছে।

তার অভিযোগ, ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি নিজ দেশের আইন ভঙ্গ করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই প্রকল্প সুন্দরবন ধ্বংস করবে। এসময় আনু মোহাম্মদ সংগঠনের পক্ষ থেকে ৭ দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হচ্ছে- সর্বজন সম্পদের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত ও এ সম্পদ দেশের কাজে ব্যবহার করা; দায়মুক্তি আইন বাতিল করে খনিজসম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন; পিএসসি প্রক্রিয়া বাতিল করে স্থলভাগে ও সমুদ্রে নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানে জাতীয় সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সুযোগ, ক্ষমতা ও বরাদ্দ প্রদান; রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্লান্ট চালু, মেরামত ও নবায়ন; এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কার ও উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি নিষিদ্ধসহ ফুলবাড়ি চুক্তি পুর্ণ বাস্তবায়ন; জাতীয় সম্পদের ওপর জাতীয় কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য সক্ষমতা বিকাশ এবং পরিবেশ ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করার নীতি প্রণয়ন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, সংগঠনের সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক জোনায়েদ সাকি, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।