English Version
আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:৫০

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০১৬ পাস সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০১৬ পাস সংসদে

সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যাদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহজনক যে কাউকে আটক অধিকার দিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০১৬ পাস করেছে জাতীয় সংসদ।

দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সোমবার রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করেন।

বিলে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যাদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হবে। বাহিনীর তত্ত্বাবধান সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে। বাহিনীর প্রধান হবেন চিফ ইন্সপেক্টর। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন ও অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ব্যতীত সন্দেহবশত বা রেলওয়ে সম্পদ চুরি বা ক্ষতি সাধনের অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য রেলওয়ের সীমানার মধ্যে আত্মগোপন করার প্রস্তুতি নেওয়ার সন্দেহে যে কোন ব্যক্তিকে আটক করতে পারবেন। বাহিনীর সদস্যরা ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না বা কোন মিছিল বা সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না।

বাহিনীর কোন সদস্য-কোন গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য কোন সংবাদ, চিঠি বা দলিল প্রকাশে সহযোগিতা করবেন না। এছাড়া বাহিনীর কোন সদস্য অস্ত্র গোলাবারুদ, পোশাক পরিচ্ছেদ ইচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট করলে বা হস্তান্তর করলে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বাহিনীর কোন সদস্য অবাধ্য ও শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়াকর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত, অপসরাণ বা বাধ্যতামূলক অপসারণ করতে পারবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ দ্বারা ১৯৭৬ সালে দ্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ কার্যকরিতা হারায়। প্রতজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও জনগণের আইনানুগ অধিকার বহালও অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে নতুন আইন প্রণীত হয়। আইনটি ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।