English Version
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:০৭

জাতির স্বার্থে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির স্বার্থে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

জাতির স্বার্থে যেকোন আত্মত্যাগ করতে সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত থাকবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ্য ও দেশপ্রেমিক কমান্ডিং অফিসার প্রয়োজন।' প্রধানমন্ত্রী শনিবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের রেজিমেন্টাল কমান্ডারদের সম্মেলন ও নবম টাইগার্স রি-ইউনিয়ন উপলক্ষে রি-ইউনিয়ন প্যারেড অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আত্মপ্রকাশ ঘটে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'তাই আমি আপনাদের কাছ থেকে দেশপ্রেমের সর্বোত্তম নজির প্রত্যাশা করি।' প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠায় সন্তুষ্ট। ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট তার পরিবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ তার দুই ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও শহীদ সেকেন্ড লেফটেনেন্ট শেখ জামাল এ রেজিমেন্টের কর্মকর্তা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে এ রেজিমেন্টের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ব্যাটালিয়ন সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেজিমেন্টের সকল ইউনিটের সদস্যদেরকে তাদের ইনিফর্মের কলারে লাল রঙের পাইপিং পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও অষ্টম ইউনিটের সদস্যদের জন্য এটি একটি গর্বের বিষয়।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের অংশ এবং ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট এই বাহিনীর প্রধান অঙ্গ। রেজিমেন্টের সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য জাতি গঠন কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। কেবল দেশেই নয়, তারা দেশের বাইরেও সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।'
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'সরকার একটি সক্ষম ও আধুনিক সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যাতে তারা মাথা উঁচু করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সকল দায়িত্ব পালন করতে পারে।' তিনি বলেন, 'আজকের বাংলাদেশ অর্ধ-দশক আগের তুলনায় ভিন্ন। বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও যেকোন অসাধ্য সাধনে অনেক বেশি আত্মপ্রত্যয়ী ও সংকল্পবদ্ধ।'
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, 'এ ধরনের কাজে সেনাবাহিনীর দক্ষতার কারণে বহু কাঙ্খিত প্রকল্পের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাকে স্বাগত জানান। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধানরা এবং উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।