English Version
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১০:১৮

দুর্নীতি দমনে কোন ইমপ্রুভমেন্ট হয়নি: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমনে কোন ইমপ্রুভমেন্ট হয়নি: অর্থমন্ত্রী

 

নানা ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সরকার এখনও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাংলাদেশে দুর্নীতির চিত্রের কোনো হেরফের হয়নি বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে কোন দ্বিমত নেই তার। সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর কাছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘দুর্নীতির ধারণাসূচকে’ বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহিত বলেন, দুর্নীতি দমনে কোনো ইমপ্রুভমেন্ট হয়নি বলেই আমরা ধারণা। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না। দুর্নীতির ব্যাপারটাতে আমরা টাচই করতে পারি নাই। তবে তিনি আশাবাদী, ডিজিটালাইজেশনের চলমান প্রক্রিয়ার গতিশীলতার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিও কমবে।

বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত ‘দুর্নীতির ধারণাসূচকে’ (সিপিআই) এবার বাংলাদেশের স্কোর গতবারের সমান হলেও অবস্থানের অবনমন ঘটেছে এক ধাপ। বিশ্বের ১৬৮টি দেশ ও অঞ্চলে ২০১৫ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা এই সূচকে ২৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভাল থেকে খারাপ) ১৩৯ নম্বরে। উল্টোভাবে হিসেব করলে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় এবার বাংলাদেশ রয়েছে ত্রয়োদশ স্থানে।

বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে, যাদের নানা পর্যবেক্ষণের সমালোচনা রয়েছে সরকারের মন্ত্রীদের।

তবে দুর্নীতি দমনে সরকারের পদক্ষেপ রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার ইনিশিয়েটিভ কন্টিনিউয়িং ডিজিটালাইজেশন। বিভিন্ন কাজ ডিজিটালি হলে দুর্নীতি কমে যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলেন, আমার মদন মোহন কলেজে (সিলেটের) ডিজিটালাইজেশন হওয়ায় আয়ের পরিমাণ আট লাখ থেকে ৮২ লাখে উন্নীত হয়েছে।

আর্থিক খাতের কারণে দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি নেই- টিআই’র এমন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, হ্যাঁ, সেটা হতে পারে।তিনি সেইসঙ্গে বলেন, এটাও দেখতে হবে যে হল-মার্কসহ বিভিন্ন ঘটনায় সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে আর্থিক খাতের কয়েকটি কেলেঙ্কারির কারণে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের পর্যায়ের কাউকে এর আগে আইনের আওতায় আনা হয়নি। এ প্রসঙ্গে হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একজন উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেপ্তারের কথাও মনে করিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।