English Version
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ০৮:২১

গ্যাস সঙ্কটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্যাস সঙ্কটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা

দেড় মাস ধরে গ্যাস কম আসছিল রাজধানীর লালবাগে খাদিজা বেগমের বাড়িতে। রবিবার সকালে চুলা ধরাতে গিয়ে দেখেন, গ্যাস একেবারেই নেই। রান্না না হওয়ায় সকাল ও দুপুরে খাবার কিনতে হয়েছে তাকে।   শুধু লালবাগ নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।গত দুই মাস ধরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের সঙ্কট চলছে। এই সময়ের মধ্যে লাইনে যে গ্যাস আসে, তাতে রান্নাবান্না সম্ভব হয় না।   মিরপুরের আগারগাঁওয়ের শাপলা হাউজিংয়ের বাসিন্দা অর্চনা রানী  জানান, তারা গত দেড় মাস ধরে দিনে ২/৩ ঘণ্টার জন্য গ্যাস পেতেন। গত দুইদিন ধরে একদমই পাচ্ছেন না। আগারগাঁওয়ের পাশের শ্যামলী এলাকার সাদিয়া আফরিন বলেন, তারা এখন ইলেকট্রিক চুলায় রান্নাবান্না করছেন। ডিসেম্বর থেকে এলাকায় গ্যাস সঙ্কট। গত এক সপ্তাহ ধরে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস আসা বন্ধ।   একই রকম সমস্যার কথা যেমন এসেছে রাজধানীর দক্ষিণ প্রান্তের পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে, তেমনি এসেছে উত্তর প্রান্তের উত্তরা এবং পূর্ব প্রান্তের বাড্ডার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। এ সব এলাকার অনেক বাসিন্দা বলেছেন, বাড়িতে রান্না করতে না পেরে বাইরে থেকে খাবার কিনতে গিয়ে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আবার বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করতে গেলেও খরচ বাড়ছে।   গ্রাহকদের ‘শত শত’অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অভিযোগ কেন্দ্রের টেকনিশিয়ান বাচ্চু মিয়া।   তিতাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমানে দৈনিক প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও তিতাস পাচ্ছে প্রায় ১৭শ মিলিয়ন ঘনফুট। ৩০০ মিলিয়ন গ্যাসের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তবে তিতাসের পরিচালক (অপারেশন্স) প্রকৌশলী আলী আশরাফ সমস্যার জন্য শীতের এই সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়াকেই দায়ী করেছেন।