English Version
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ২২:৪৩

মুসা বিন শমসের যাচ্ছেন দুদকে ২৮ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মুসা বিন শমসের যাচ্ছেন দুদকে ২৮ জানুয়ারি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানের মুখোমুখি হতে ২৮ জানুয়ারি দুদকে যাচ্ছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের। শনিবার এ তথ্য জানা গেছে।

১৩ জানুয়ারি বুধবার দুদক কার্যালয়ে তার হাজির হওয়ার কথা থাকলেও মৃত্যু আতঙ্ক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে হাজির হননি অস্ত্র ব্যবসায়ী ও ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুসা বিন শমসের। ১২ জানুয়ারি দুদক কার্যালয়ে সময় চেয়ে আবেদন করে চিঠি পাঠান তিনি। চিঠিতে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মাস পেছানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, দুদক কার্যালয়ে এসে মুসার পক্ষে এ চিঠি জমা দেন  ড্যাটকো গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক এটিএম মাহবুব মোর্শেদ। চিঠির কপি দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান,  কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও কমিশনার মো. নাসিরউদ্দিনসহ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মো. নূর আহাম্মদ, একই বিভাগের পরিচালক এবং অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী বরাবর দিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, এই মাসের শুরুতে ড. মুসা বিন শমসেরকে (প্রিন্স মুসা)  ১৩ জানুয়ারি বুধবার দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি পাঠায় দুদক। চিঠিতে গত জুন মাসের ৭ তারিখে দুদকে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীর উৎসে সমর্থনে রেকর্ডপত্রসহ (যদি থাকে) বক্তব্য প্রদানের জন্য বলা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

দুদক সূত্র আরও জানায়, গত ৭ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে দুদক সচিব বরাবর ১৬ পৃষ্ঠার সম্পদ বিবরণী জমা দেন মুসা। সেখানে সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত সুইস ব্যাংকে তার একক হিসাব নম্বরেই ১২ বিলিয়ন ডলার (সাড়ে ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) আছে বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে ৯০ মিলিয়ন ডলারের (৭১১ কোটি টাকা) সমপরিমাণ পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান পদার্থ প্লাটিনাম, হীরা ও স্বর্ণালঙ্কারের কথাও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া দেশে তার সম্পদের মধ্যে গুলশান ও বনানীতে দু’টি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও ওই বিবরণীতে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে, তার সম্পদের বিষয়ে সম্প্রতি এক মন্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, মুসা বিন শমসেরের সম্পদ আর ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কে বেশির ভাগ বুলিই ফাঁকা।

তিনি বলেন, মুসা দুদকের কাছে বিশাল জায়গা-জমির হিসাব দিয়েছেন। তবে কোনো জায়গাই তার দখলে নেই। আবার বিদেশে আটক ১২ বিলিয়ন ডলারের যে তথ্য তিনি দিয়েছেন, সেখান থেকেও তথ্য পাচ্ছি না। তিনি বলেন, মুসা যত গর্জে, তত বর্ষে না। যতটা না করেছেন, তার চেয়ে তিনি বেশি বলেছেন।

সূত্র জানায়, মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে দুদক ২০১১ সালে প্রথম ও ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফায় অনুসন্ধান শুরু করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে অনুসন্ধান করে দুদক। বর্তমানে তৃতীয় দফার অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।