English Version
আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৮:১০

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে শুরু শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে শুরু শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ এই স্লোগান নিয়ে সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এ উৎসব ঢাকাসহ দেশের তিন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করেছে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি। এবারের উৎসবে ৩০টি দেশের দেড় শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটের মোট ১৫টি স্থানে একযোগে উৎসবের ছবিসমূহ প্রদর্শিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বর ও শওকত ওসমান মিলনায়তনে শনিবার বিকেল ৪টায় চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার। উদ্বোধনী দিন প্রদর্শিত হবে জার্মানির চলচ্চিত্র ‘মাই ফ্রেন্ড রাফি’।

ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। উদ্বোধনীর দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি করে প্রদর্শনী হবে মূল উৎসব কেন্দ্রে। অপর কেন্দ্রগুলোতে সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবকসহ শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এবারও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এই বিভাগে এবার ৮০টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ৩৩টি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি ছবি পুরস্কৃত হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা। পুরস্কারের জন্য গঠিত ৫ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর, অর্থাৎ ছোটরাই বাছাই করবে তাদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবিগুলো।

আরও থাকছে বড়দের নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এ বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সমালোচক সাজেদুল আউয়াল ও জাকির হোসেন রাজু। থাকছে তরুণ নির্মাতাদের জন্য ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ও সোস্যাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড। আগামী ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী সেমিনার। দুই পর্বে বিভক্ত এই সেমিনারের বিষয় : ‘শিশুদের উপর নির্যাতন’। ২৭ জানুয়ারি থাকছে চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর এক কর্মশালা। এটি পরিচালনা করবেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা।

উৎসবের বিভিন্ন ভেন্যুতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জনানো হয়েছে। উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে সকল বিভাগের প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।

উৎসবে এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপ। তারা এবারের উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান পেয়েছে উৎসব। উৎসব আয়োজনে আরও সাহায্য করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। ভেন্যু পার্টনার হিসেবে থাকছে আলিয়াস ফ্রাঁসেজ ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ, চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুননী, উপ-উৎসব পরিচারক আবির ফেরদৌস, উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আর এফ এল এর কনফেকশনারীর হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস এ কে এম মঈনুল ইসলাম ও ব্র্যান্ড ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ।