English Version
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১১:২৪

বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালো স্কুলছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালো স্কুলছাত্রী

মৎস্য ভবনের সামনে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয়রা মৎস্য ভবনের সামনের সড়কে অবরোধ করে। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে।

নিহতের নাম সাবিহা আক্তার সোনালী (১৪)। তিনি সেগুন বাগিচার বেগম রহিমা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তেন। তার বাবার নাম জাকির হোসেন। তাদের বাড়ি পিরোজপুর।

শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক মো. নীরু মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বার কাউন্সিল ভবনের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বাসের ধাক্কায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। সোনালীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এক প্রত্যেক্ষদর্শী বলেন, পুলিশ বাসটি আটক করলেও এর চালক পালিয়ে গেছেন। সোনালীর মৃত্যুর খবর শোনার পর তার সতীর্থ এবং স্থানীয়রা মৎস্য ভবন মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর উপস্থিত জনগন বিক্ষোভ করেন। এতে আধা ঘণ্টার মতো যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিক্ষোভকারীরা দুর্ঘটনার জন্য বাসচালকের বেপরোয়া চালনাকে দায়ী করেন। এবং সোনালীর মৃত্যু রাজধানীর অনিরাপদ সড়কের কারনে হয়েছে বলে জানান তারা।  

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের অপারেটর বিউটি বেগম জানান, দুর্ঘটনার পর আধা ঘণ্টার মতো যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে সড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

রাজধানীর শাহবাগে গত সপ্তাহে বাসের ধাক্কায় বারডেম হাসপাতালের এক কর্মী নিহত হয়েছিলেন। তার কয়েকদিন আগে যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় নিহত হন পথচারী এক নারী।   

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের আরেকটি পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৫ সালে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হন। এই সংখ্যা ৩৫৯। এর মধ্যে রাজধানীতেই নিহত হন