English Version
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৮:০২

নেতারাও মাদক ব্যবসায় জড়িত : এডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নেতারাও মাদক ব্যবসায় জড়িত : এডিজি

দেশের ৭০ লাখ মানুষ মাদক নিচ্ছেন। এর বেশির ভাগই তরুণ। মাদক সেবনের এই ভয়াবহ বিস্তারের কারণ হলো দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা মাদক দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার প্রয়োজন। দলগুলোকে মাদক দ্রব্য বিক্রেতা ও সেবনকারীদের পরিহার করতে হবে। 

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার একুশে স্কুল মাঠে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) মো. আমির হোসেন এ কথা বলেন।  মো. আমির হোসেন বলেন, মাদক আসছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে। এসব মাদক শুধু পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব বা প্রশাসন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এ জন্য সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।  মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মানজুরুল ইসলাম বলেন, আগে এ দেশের যুব সমাজ হেরোইন সেবন করত। পরবর্তী সময়ে ফেনসিডিল সেবন শুরু করে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ ইয়াবা সেবন করে। মাদক দ্রব্য বিক্রেতারা শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত করতে নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিভাগ সেল খুলেছে। এর মোবাইল নম্বর-০১৭১৬৯৫৫৬২৩।  হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মজুমদার বলেন, তার উপজেলাকে আগামী মার্চ মাসে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে।  মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অধিদপ্তরের পরিচালক নাজমুল আহসান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আলমগীর বাহারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম, হাজীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হানিফ, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম মজিবুর রহমান, একুশে গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক প্রমুখ।