English Version
আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৯:০০
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি

আশ্বাস মিললেও সমাধান হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আশ্বাস মিললেও সমাধান হয়নি
ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও মহাসচিবের বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। দুই পক্ষই আশা করছেন সমস্যার একটা সমাধান হবে। তবে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। 

অষ্টম বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘মর্যাদা বাড়ানোর’র দাবিতে দেশের ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ। গতকাল সোমবার তাঁরা এই আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আন্দোলনের মধ্যেই আজ বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে দুই শিক্ষকনেতা সাংবাদিকদের বলেন, তাদের আন্দোলন চলবে। তবে তাঁরা আশাবাদী সমস্যার সমাধান হবে।  বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।  সিলেকশন গ্রেড বহাল, গ্রেড সমস্যা নিরসন ও পৃথক বেতন স্কেলের দাবিতে গত আট মাস ধরে আন্দোলনের পর গতকাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকেরা। এই কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আজও কোনো ক্লাস হয়নি।  সকালে এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, আজও সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি কর্মসূচি চলছে। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্জন হল এলাকায় অবস্থিত প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের মতো আজও তাঁদের বিভাগে কোনো ক্লাস হচ্ছে না।  দেশের ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে বছরের শুরুতেই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে উচ্চশিক্ষা। গতকাল থেকে শিক্ষকেরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড বহাল, গ্রেড সমস্যা নিরসন ও পৃথক বেতন স্কেলের দাবিতে শিক্ষকেরা কঠোর অবস্থানে গেলেও গতকাল পর্যন্ত অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে এ বিষয়ে তৎপরতা দেখা যায়নি।