English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:৫৫

৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

সিলেকশন গ্রেড বহালসহ ও নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে সমস্যা নিরসনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ধর্মঘট চলছে। একযোগে কর্মবিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস ও প্রশাসনিক কাজ। তবে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কর্মবিরতি থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো সময় নির্ধারিত সময়েই হবে।

ক্লাস রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন শুরু করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ধর্মঘটের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিভাগে ক্লাস এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালনরত শিক্ষকরা আসন্ন অচলাবস্থা কাটাতে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও অন্যান্য অসঙ্গতি দূর করার দাবিতে শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি বিভাগের ক্লাসসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে ঘুরে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

শীতকালীন ছুটি থাকার পরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। খুলনায় কর্মবিরতি ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। সভাপতিত্ব করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান। এ ছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্বদ্যিালয় সকল ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষকরা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়লে তার জন্য অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এস এস এম মাকসুদ কামাল। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতিকালে কলাভবনের সামনে বটতলায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মাকসুদ কামাল।

ফেডারেশনের মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা গত আট মাসে কোনো আন্দোলনে যাইনি; বরং আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিলাম। অর্থমন্ত্রী আমাদের একবার আশ্বাস দেন, আবার সেই আশ্বাস সম্পর্কে আর কোনো অগ্রগতির কথা জানান না। এখন অর্থমন্ত্রী বলছেন, শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে, বলেন এস এস এম মাকসুদ কামাল।