English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:৪৪

চলতি বছর হজযাত্রার খরচ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছর হজযাত্রার খরচ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা
ফাইল ছবি

চলতি বছর হজযাত্রায় খরচ গত বছরের চেয়ে ছয় হাজার টাকা বেড়েছে। ২০১৬ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে কোরবানিসহ ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। কোরবানিসহ গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে মোট খরচ ছিল ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৫ টাকা।

খরচ বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শফিউল বলেন, প্রতি বছর ডলারের মূল্যমান কিছু বাড়ে, মুদ্রাস্ফীতি তো আছে। সেই তুলনায় বৃদ্ধিটা বেশি না, সহনীয়ই আছে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি-২০১৬’ এবং ‘হজ প্যাকেজ-২০১৬’ এর খসড়া অনুমোদন হয়।

এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার জন হজে যেতে পারবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেলে কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ হবে। গত বছর এই খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৬ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মৌলিক খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। এর সঙ্গে খাওয়া-বাড়ি ভাড়া যোগ করে সংশ্লিষ্টরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন। হজে যেতে সর্বোচ্চ খরচ কত হবে তা সরকার নির্ধারণ করে দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা প্রতিযোগিতামূলক। তবে নিজেরা যে স্বেচ্ছাচারীভাবে বাড়াতে পারবে, বিষয়টা তাও নয়।

সরকার অনুমোদিত প্রত্যেকটি হজ এজেন্সি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য নিজ নিজ প্যাকেজ অনুসারে মক্কা ও মদিনার বাড়ি ও হোটেল ভাড়া, খাওয়া খরচ, মোয়াল্লেমকে প্রদেয় সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি ব্যয় চূড়ান্ত করে সর্বোচ্চ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। সচিব জানান, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি হজ এজেন্সিকে নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খোলা লাগবে। এর মাধ্যমে আবাসন ও খাওয়ার বিল পরিশোধ করতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা করবে, ব্যাংক থেকে খরচ করবে। যাতে স্বচ্ছতা থাকে। বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর নানা প্রতারণার অভিযোগ মন্ত্রিসভার আলোচনায় এসেছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই বিষয়টি আসেনি।

তবে এয়ারলাইন্সগুলোর অবহেলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতবার লাগেজ দুই-তিন দিন বা তার পরে এসেছে- এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এবার তারা বিষয়টা কঠোরভাবে দেখবে। লাগেজগুলো যেন ঠিকমতো আসেন এবং ফ্লাইটগুলো যেন অস্বাভাবিক বিলম্ব না করে।