English Version
আপডেট : ১০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১১:১২

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানের বন্দিশালা থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। দিনটি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

রবিবার সকালে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৭টায় সরকার প্রধান হিসাবে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসাবে দলীয় নেতাদের নিয়ে ফুল দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এইচ টি ইমাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৈয়দ আশরাফুল সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও রাজাকাররা বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে আছে। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই রাজাকাররা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের এই সন্তান বলেন, আমরা ৭১ এ পাকিস্তানিদের পরাজিত করেছি। আমরা কখনও পরাজিত হই নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে থাকবে; তা পাকিস্তানিরা কখনও ভাবতে পারেনি। ৪০ বছর ধরে ষড়যন্ত্র করে তারা পারে নাই। এখনও পারবে না।

আমির হোসেন আমু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, যে দিন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে, সেদিন থেকে মূলত তিনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করা এবং যেটা পাকিস্তানিরা চায়, এই দেশকে আবার সেই খাতে প্রবাহিত করতে।”

জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে সম্প্রতি পাকিস্তানের এক কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার বিষয়ে মন্ত্রী আমু বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। একাত্তরে পাকিস্তানের দোসর হিসাবে সেদিন যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনও তা মেনে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চক্রান্ত থেকে শুরু করে সব ধরনের চক্রান্ত চলছে।

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের কারণে দিবসটিতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ কর্মসূচি পা একদিন পরে ১১ জানুয়ারি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।