English Version
আপডেট : ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৯:৩৯

ইউনিট প্রতি সাড়ে ছয় টাকায় ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউনিট প্রতি সাড়ে ছয় টাকায় ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার
ফাইল ছবি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে প্রতি ইউনিট ৫ রুপি ৫০ পয়সা (৬ টাকা ৬০ পয়সা) দরে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দু'দেশের যৌথ বৈঠকে বিদ্যুতের এই দাম নির্ধারণ করা হয়। সকল অবকাঠামো স্থাপন করার পরেও দাম জটিলতার কারণে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার দু'দেশের যৌথ বৈঠকে এ দাম নির্ধারণ করা হলো।

বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে, ত্রিপুরার মুখ্য সচিব এস কে রাকেশ, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচালক ঘনশ্যাম প্রসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা উভয় দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছি। ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে আর কোনও বাধা রইল না।

বৈঠক সূত্র জানায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ আমদানির চূড়ান্ত চুক্তি করা হবে। এ বিষয়ে শনিবারই একটি খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উভয় দেশ।সূত্র আরও জানায়, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে উভয় দেশ কিছুটা ছাড় দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ত্রিপুরা থেকে যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে তার স্থায়ী (ক্যাপাসিটি) কোনও খরচ নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করলেই বিল দেবে, না নিলে কোনও বিল দেওয়া লাগবে না।

বর্তমানে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ২৫০ মেগাওয়াটের দাম প্রতি ইউনিট ২ রুপি ৪৬ পয়সা। বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে, যার দাম প্রতি ইউনিট ৫ রুপি ৪৬ পয়সা। এখানে ক্যাপাসিটি খরচও দিতে হয়।

সূত্র জানায়, ভারত প্রথমে ত্রিপুরার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট প্রায় ৮ রুপি করে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সম্মত হয়নি। সেজন্যই বিদ্যুৎ আমদানি সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে দর কষাকষির পর ভারত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সাড়ে ৫ রুপি করে দিতে রাজি হওয়ায় ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পথ খুললো।