English Version
আপডেট : ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৩২

বঙ্গবন্ধু সেতুতে সিরিজ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু সেতুতে সিরিজ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন

এক ঘণ্টার মধ্যে একই স্থানে পর পর সাতটি দুর্ঘটনা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার ভোরে এই সিরিজ দুর্ঘটনা ঘটে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। শনিবার ভোরে ঘণ কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে পুরো দেশ। এর ফলে দৃষ্টি বিভ্রমে দেশজুড়েই চলতে থাকে একের পর এক দুর্ঘটনা। আর সিরিজ দুর্ঘটনা হয় বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর। এ বিষয়ে যমুনা সেতু (পূর্ব) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আখেরুজ্জামান বলেন, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা। তখন থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ছয় থেকে সাতটি দুর্ঘটনা হয় সেখানে।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অনেকে মতামত দেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলে যে গতিসীমা মানার কথা তা মানা হয় না। আর ঘণ কুয়াশার মধ্যে গতিসীমা নামিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করার যে নিয়ম তাও মানেন না চালকেরা। যদি মানতেন তবে এই দুর্ঘটনাগুলো হতো না। বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের সময় যানবাহনের চালকেরা নিজেদের মধ্যে অনেক সময় প্রতিযোগিতা করে। যা কখনো কাম্য নয়। 

পুলিশ পরে ঘটনাস্থল ঘিরে ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। আর আহতদের নেয়া হয় সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে। নিহতদের মধ্যে একজন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের পুত্র রানা শরীফ।

পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন গুলো সরিয়ে নিচ্ছিলো কিন্তু সেতু বন্ধ করা হয়নি। এরই এক পর্যায়ে উপস্থিত উদ্ধার কর্মীদের সামনে ঘটে যায় সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, নটার দিকে তিনি দেখতে পান একটি দ্রুতগামী ট্রাক আচমকা ব্রেক করে আর মুহূর্তেই পেছন থেকে আসা যানবাহনগুলো প্রচণ্ড বেগে একের পর এক আছড়ে পড়তে থাকে।তিনি বলেন, ওই দুর্ঘটনায় বাস, ট্রাক সহ অন্তত ১৫টি যানবাহন সংঘর্ষের শিকার হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আখেরুজ্জামান বলেন, এই দুর্ঘটনার পর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে প্রায় চার ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু করে। তিনি বলেন, তিনি তার কর্মজীবনে এমন ধরনের দুর্ঘটনা আর কখনো দেখেননি।