English Version
আপডেট : ৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ২০:৩৬
নাশকতা ঠেকাতে

বিশ্ব ইজতেমায় র‌্যাবের ৫ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব ইজতেমায় র‌্যাবের ৫ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়

টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদসহ যে কোন ধরণের নাশকতা রোধে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ৫ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। জল, স্থল ও আকাশ পথে যে কোন ধরণের বিশৃংখল পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‌্যাব সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) কর্ণেল জিয়াউল আহসান এ কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, টঙ্গী তুরাগ পাড়ের পুরো বিশ্ব ইজতেমা মাঠের ১৮টি প্রবেশ গেইট সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতিটি গেইটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই সাথে বিদেশী মেহমান (অতিথিদের) নিবাসেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। জিয়াউল আহসান জানান, বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য র‌্যাবের একটি মূল কন্ট্রোল রুমসহ আরো দু’টি সাব কন্ট্রোল রুম মাঠে স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠে ৯টি অবজারভেশন পোষ্ট, ৯টি ওয়ার্চ টাওয়ারের মাধ্যমে সব সময় পুরো মাঠ মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই সাথে র‌্যাবের একটি হেলিকপ্টার আকাশ পথে পুরো ইজতেমা মাঠে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ইজতেমা মাঠকে ৩৮টি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কর্ণেল জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদেরকে জানান, র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়ার্ট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, স্পীডবোর্ট ও মোবাইল টহল টিম সর্বক্ষণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তুরাগ নদীতে রয়েছে র‌্যাবের স্পীড বোর্ট। যে কোন ধরণের বিশৃংখলা ও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‌্যাবের এ দলটি তৎপর রয়েছে। ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। কোন দেশের প্রতি বিশেষ নজরদারীর নির্দেশ আছে কিনা না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে জিয়াউল আহসান জানান, পৃথিবীর সব দেশেই সন্ত্রাস ও জঙ্গী হুমকী রয়েছে। তবে, বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি¬দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ জন্য তারা সকলের সহযোগিতা চান। তাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা শেষ করতে পারবেন বলেও আশাবাদী। চলতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় কোন বিদেশী নাগরিকদের প্রতি বিশেষ ধরণের নজরদারী রয়েছে কিনা জানতে চাইলে র‌্যাবের এডিজি জানান, বিদেশী অতিথি ও বিদেশী নাগরিকদের প্রতি তেমন নজরধারী নেই। এখানে সবাই সমান। তবে, কোন ধরণের নাশকতা ও বিশৃংখলা যেন কেউ করতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে র‌্যাব আছেন। গোয়েন্দারাও তাদের নজরদারী অব্যাহত রেখেছেন। কর্ণেল জিয়াউল আহসান আরো জানান, ইজতেমায় আগত মহিলাদের জন্য র‌্যাবের মহিলা সিকিউরিটি রয়েছে। তারা সেটি দেখছেন। এছাড়া র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি মেডিক্যাল টিমও আছে। সেই সাথে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থাও র‌্যাব করেছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে কর্ণেল জিয়াউল আহসান র‌্যাবের সিসি টিভি কন্ট্রোল রুম ও মাঠ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার মূখপাত্র (পরিচালক) কমান্ডার মূফতি মাহমুদ খান, র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেনেন্ট কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ, র‌্যাবের যোগাযোগ শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল কমান্ডার শাহেদ, র‌্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্ণেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, র‌্যাবের গনমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদুল আলম, মেজর শোয়াইবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।