English Version
আপডেট : ৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ২০:০৮

ইজতেমায় মুসল্লিদের সুবিধার্থে থাকছে ২৮টি বিশেষ ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইজতেমায় মুসল্লিদের সুবিধার্থে থাকছে ২৮টি বিশেষ ট্রেন

বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন সময়ে মুসল্লি ও যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২৮টি করে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে। পাশাপাশি ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে দু’টি ‘জুমা বিশেষ ট্রেন’ পরিচালনা করা হবে। অবশ্য ইজতেমার প্রথম পর্যায় ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্যায় ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি পষন্ত মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য এই বিশেষ ট্রেন সেবা দিবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের আগের ২ দিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকে ২টি করে ৪টি ট্রেন ও আখেরি মোনাজাতের আগের দিন লাকসাম-টঙ্গী রুটে একটি ট্রেন পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি  আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী রুটে ৭টি, টঙ্গী-ঢাকা রুটে ৭টি, টঙ্গী-লাকসাম রুটে একটি, টঙ্গী-আখাউড়া রুটে ২টি এবং টঙ্গী-ময়মনসিংহ রুটে ৪টিসহ মোট ২১টি ‘আখেরি মোনাজাত ট্রেন’ পরিচালনা করা হবে।

মুজিবুল হক আরও জানান, টঙ্গী স্টেশনে ৩৮টি মেইল এক্সপ্রেস, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের বিরতি রয়েছে। আখেরি মোনাজাতের আগের ৫ দিন ঢাকা অভিমুখী সকল আন্তঃনগর ট্রেন (২৯টি) ২ মিনিট করে থামবে। এবং আখেরি মোনাজাতের দিন ৫৮টি আন্তঃনগর ট্রেন ও আখেরি মোনাজাতের পর দিন ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ২ মিনিট করে থামবে।

বিশ্ব ইজতেমার সময় রেলওয়ের ‘অবডে’ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ১০ ও ১৭ জানুয়ারি রোববার ৭২১-৭২২ মহানগর প্রভাতী-গোধূলী, ১১ ও ১৮ জানুয়ারি সোমবার ৭০৭-৭০৮ তিস্তা এক্সপ্রেস এবং ৮ ও ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার ৭০১-৭০২ সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে।

তিনি জানান, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সুবিধার্থে সূবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-টঙ্গী কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর কমিউটার এবং ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার অখেরি মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী জানান, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যাত্রী ও মুসল্লীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সকল আন্তঃনগর মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে ২০টি অতিরিক্ত কোচ (বগি) সংযোজন করা হবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সকল স্টেশনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সুবিধার্থে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। টঙ্গী রেলস্টেশন প্লাটফর্মে একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।

তিনি বলেন, কর্তব্যরত অতিরিক্ত-সহকারী পুলিশ সুপার এবং একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের অস্থায়ী অফিস থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, যাত্রী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জিআরপি’র পক্ষ থেকে ২৫ হাজার লিফলেট করা হবে। তিনি বলেন, জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী, বিমানবন্দর, তেজগাঁও, কমলাপুর স্টেশন, টঙ্গী লেভেলক্রসিং, বর্নমালা লেভেলক্রসিং গেট ও তুরাগ ব্রীজে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

ইজতেমা শুরুর ৩ দিন আগ থেকে আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ এবং আখাউড়া থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাক ও ব্রীজ নজরদারির জন্য টহল দেয়া হবে।

তিনি জানান, মুসল্লিদের সুবিধার্থে টঙ্গী স্টেশনে একটি অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এবং যাত্রী ও মুসল্লীদের সুবিধার্থে ঢাকা স্টেশনে ৭০টি ও টঙ্গী স্টেশনে ৫০টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। টঙ্গী স্টেশনে স্থায়ী টয়লেট ছাড়াও অস্থায়ী একটি নামাজ ঘর, একটি বিশ্রামাগার, ৪০টি অজুখানা ও ২৫টি শৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। অারেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, টঙ্গী স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

এসময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিখিল চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) রফিকুল আলম এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র- বাসস