English Version
আপডেট : ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:১৩
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

মন্ত্রিসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান নিয়ে চুক্তির খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মন্ত্রিসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান নিয়ে  চুক্তির খসড়া অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান পরিবহন নিয়ে একটি চুক্তির খসড়া প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিবহন’ শীর্ষক চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে।

এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই চুক্তি সম্পাদিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বিমান বাংলাদেশে আসবে এবং বাংলাদেশের বিমানও যুক্তরাষ্ট্রে যাবে। বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৩ সাল থেকে এই চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে সরকার। চুক্তিটি সম্পাদিত হলে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরো উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সচিব।

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

সারা দেশে সংঘটিত ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ বিষয়ে তাকে জানানো হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই অনির্ধারিত আলোচনায় ভূমিকম্পের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। মন্ত্রিসভার সদস্যরা ভূমিকম্পের সময় নিজ নিজ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতি বিস্তারিত জানতে চান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি তাঁর কাছে তুলে ধরা হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। আজ ভোরে ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভুটানে ভূকম্পন হয়। এতে বাংলাদেশে আতঙ্কিত হয়ে তিনজন ও ভারতে আটজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পাট আইন

এ ছাড়া বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপস্থাপিত ‘পাট আইন, ২০১৬’-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।এ সম্পর্কে সচিব বলেন, এটি একটি পুরোনো আইন। আগে এ আইন লঙ্ঘন করলে কেবল শাস্তির কথা বলা ছিল। কিন্তু কী শাস্তি হবে, তা বলা ছিল না। সংশোধিত আইনে শাস্তির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ যদি পাট আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে পাটের ব্যবহার বাড়বে বলেও জানান সচিব। এ ছাড়া আজকের বৈঠকে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বিদেশ সফর সম্পর্কিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।