English Version
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৬:১৯

শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা চাই শিক্ষিত জাতি গঠন করতে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, ইংরেজি মাধ্যমে সিলেবাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তি জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে পিএসসি, জেএসসি ও জেডিসি সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি গ্রহণ ও বই উৎসব ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সরকার সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে শিক্ষায়। আমাদের সামর্থ্য থাকলে সব শিক্ষাকে অবৈতনিক করে দিতাম। আমরা চাই কোনো শিক্ষার্থী যাতে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়। ‘আমরা ২৬ হাজার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি। ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। আমারা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থী বৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেছি। সেই ফান্ডে আমরা এক হাজার কোটি টাকার অনুদান দিয়েছি।’ ‘নতুন বছরে ভর্তিসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। বছরের শুরুতে পিতা-মাতার ওপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে সে জন্য বই প্রদানের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষাখাত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে প্রথম যে সংবিধান প্রণয়ন করেছেন জাতির পিতা। এবং সেখানেও শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেই সময়ে ৩৭ হাজার স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার মূল ভিত্তিটা গড়ে দেয়া হয়েছিল।’

‘প্রথম যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি তখন স্বাক্ষরতা মানে নাম লিখতে পারে এমন মানুষের শতকরা হার ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ। আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা চেয়েছি শিক্ষিত জাতি গঠন করতে। তখন আমরা এক কক্ষবিশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তিন কক্ষে উন্নত করি। ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিই। যেখানে অধিকাংশই ছিল মহিলা শিক্ষিকা। যারা নিজের এলাকায় থেকে শিক্ষা প্রদান করতে পারবে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।