English Version
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০২:১৬

তিনদিনের মেগা বিচ কার্নিভ্যাল কক্সবাজারে

অনলাইন ডেস্ক
তিনদিনের মেগা বিচ কার্নিভ্যাল কক্সবাজারে

২০১৬ পর্যটন বর্ষকে সামনে রেখে ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে তিনদিনের মেগা বিচ কার্নিভ্যাল। কার্নিভ্যালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান খান কবির।

গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে এবং কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে জমকালো অনুষ্ঠানে শুরু হয় কার্নিভ্যালের ক্ষণ গণনা।

কাউন্ট ডাউন ঘোষণা করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পর্যটন বর্ষে বিপুল আয়োজনের সূচনা হবে কক্সবাজারের মেগা বিচ কার্নিভ্যালের মধ্য দিয়ে। কক্সবাজার তথা বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে এ আয়োজন। পর্যটন বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। সেই দুয়ার দিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বাংলাদেশে তাদের ঠিকানা খুঁজে নেবে।

তিনি আরও বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকার একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এর বাস্তবায়ন হলে ভিন্ন এক বাংলাদেশের ছবি ফুটে উঠবে।

বিচ কার্নিভ্যালের আয়োজক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুারিজম বোর্ড (বিটিবি), বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ২ জানুয়ারি ২০১৫ তিনদিন ব্যাপী এ কার্নিভ্যালকে সামনে রেখে পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বর্ণিলভাবে সাজবে। প্রতিদিন সুর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত দেশের সেরা শিল্পীদের গান, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন, নৃত্য পরিবেশনা, আতশবাজিসহ নানা আয়োজন থাকবে। পুরো সৈকতকে উৎসবের আবহ তৈরি করা হবে। মেলা বিভিন্ন অনুষঙ্গের মধ্যে থাকছে রকমরি খাবারের প্রদর্শনী, লোক শিল্পের প্রসার, সারা দেশের পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানসমূহকে তুলে ধরার আলাদা আয়োজন, ঘুড়ি উৎসব, প্রদর্শনী, বিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, সার্ফিং, বালুর ভাস্কর্য তৈরি, আলোক চিত্র প্রদর্শনীসহ ৬৯টি ইভেন্ট। সেই সাথে সমুদ্র সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সচেতনামূলক বিভিন্ন আয়োজনও থাকছে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোয়িশন অব কক্সবাজারর (টোয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও বিচ কার্নিভ্যাল উপলক্ষে আগত পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে টোয়াক সচেষ্ট। এ উপলক্ষে প্রায় ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, আসন্ন থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ম্যাগা বিচ কার্নিভ্যাল সামনে রেখে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও প্রস্তুত রয়েছে। ভাটার সময় যেন পর্যটকরা সাগরে নামতে না পারেন সেজন্যে লাইফ গার্ড ও পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দর্শনীয় স্থান ও বিপণি বিতানগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া চুরি ছিনতাই এবং ইভটিজিং ঠেকাতে সাদা পোশাকে পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।