English Version
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৭:০৬

হারিয়ে যাচ্ছে বুকের দুধ দিয়ে তৈরি ট্যাটু

অনলাইন ডেস্ক
হারিয়ে যাচ্ছে বুকের দুধ দিয়ে তৈরি ট্যাটু

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী মেয়েরা তরুণদের মন পেতে একসময় নিজেদের শরীরে ট্যাটু আঁকতেন। এতে ব্যবহৃত হত মায়ের বুকের দুধ। তবে দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে।

সুন্দরী দেখাতে নাম আয়সে ইউসুফোগলু। বয়স ৮৪। কিশোরী বয়সে তিনি একজনকে ভালবাসতেন। তাঁর চোখে নিজেকে আরও সুন্দরী করে তুলতে নিজের শরীরে ট্যাটু এঁকেছিলেন তিনি। এখনও তা দেখা যাচ্ছে। যাঁর জন্য ট্যাটু এঁকেছিলেন তিনিই এখন তাঁর স্বামী। রীতি দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের এক গ্রামে থাকেন ইউসুফোগলু। তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি ও তাঁর বান্ধবীরা তরুণদের মন জয় করতে নিজেদের শরীরে ট্যাটু আঁকতেন। বুকের দুধ আর ঝুল ট্যাটু আঁকতে মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে কাঠের খড়ি ব্যবহৃত চুলায় ব্যবহার হওয়া পাতিলের নীচের ঝুল মেশানো হত। এরপর সুচ ফুটিয়ে ট্যাটু আঁকা হত। শুধু মেয়ে শিশুর মা ৮৭ বছরের হুলু আয়দোগলু জানালেন, যে মায়েরা মেয়েশিশু পালন করেন শুধু তাঁদেরই বুকের দুধ নেয়া হতো, কারণ সেই দুধের রং হতো হালকা সবুজ। আর ছেলে শিশুদের মায়ের দুধ হত কাল রঙের। সাধারণ নকশা সূর্য, চাঁদ এমনকি ঘরের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন সব বিষয়ই ট্যাটু হিসেবে আঁকা হতো। রীতি হারিয়ে যাচ্ছে ধর্মীয় বিরোধিতার কারণে এরকম ট্যাটুর চর্চা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ইউসুফোগলু বলেন, ট্যাটু আঁকা পাপ বলে জানিয়েছেন ধর্মীয় নেতারা। পড়েছে আধুনিকতার প্রভাবও ধর্মীয় নেতাদের বিরোধিতা ছাড়াও আজকের যুগে যে মেক-আপ পাওয়া যাচ্ছে সে কারণেও ঐতিহ্যবাহী এই ট্যাটুর চল হারিয়ে যাচ্ছে। ইউসুফোগলু বলেন, ‘‘সেই সময় ওগুলো ছিল আমাদের মেক-আপ। এখন মেক-আপ পাওয়া যায়, তাই ট্যাটু দিয়ে কাউকে সুন্দর বানানোর প্রয়োজন পড়ে না। ’’ -ডিডাব্লিউ