English Version
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০১৭ ১৪:০৭

৩১৯ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে দেশের মালিক!

অনলাইন ডেস্ক
৩১৯ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে দেশের মালিক!

আস্ত একটি দেশের ‘মালিক’ হয়ে গেলেন এক ভারতীয় নাগরিক; নাম সুযশ দীক্ষিত। তিনিই সেখানকার একচ্ছত্র শাসক বলে দাবি তার। আর সে দেশের প্রধানমন্ত্রী তার বাবা। নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে দেশটির রাজধানীর নাম রেখেছেন সুযশপুর। সে দেশের জাতীয় পশু টিকটিকি।

দক্ষিণ মিসর এবং উত্তর সুদানের মরুভূমির মধ্যে প্রায় দুই হাজার বর্গমাইল জায়গাজুড়ে বিস্তৃত অঞ্চলের নাম বীর তাওয়িল। জনবসতহীন এই অঞ্চল এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ বা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নয়। সেই অঞ্চলটিই এখন সুযশ দীক্ষিতের দেশ। তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় হলে বসবাস করেন মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে। আদ্যোপান্ত অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। আর সেই অ্যাডভেঞ্চারের নেশাই তাঁকে ‘মালিক’ করে তুলেছে একটি দেশের আস্ত দেশের। যার নাম সুযশ নিজেই দিয়েছেন-‘কিংডম অব দীক্ষিত’। আর সে দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য সুযশ সবাইকে আহ্বানও জানাচ্ছেন। মরুভূমির ভেতর দিয়ে প্রায় ৩১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ গাড়ি চালিয়ে দেশটি আবিষ্কার করেন সুযশ।

একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সিইও সুযশ, গত ৬ নভেম্বর তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘নিজেকে ‘কিংডম অব দীক্ষিত’-এর রাজা হিসেবে আমি ঘোষণা করছি। আজ থেকে আমি রাজা সুযশ। বীর তাবিলের এই দাবিদারহীন অঞ্চল আজ থেকে আমার দেশ।’ আস্ত একটা ‘দেশ’ আবিষ্কার করতে তাকে যে কঠিন কসরত করতে হয়েছে, সে কথাও ফেসবুকে লিখেছেন সুযশ। তিনি লিখেছেন, ‘মিসরীয় সেনার দখলে থাকা রাস্তা ধরে সফর করছিলাম। গোটা এলাকাটা উগ্রপন্থিদের আখড়া। সে জন্যই এলাকায় ‘দেখামাত্র গুলি’র নির্দেশও দেয় সেনা। অনেক পরিকল্পনা করে, বেশ কয়েক জায়গায় অনুমতি নিয়ে সেখানে পৌঁছতে পেরেছিলাম।’

লক্ষ্যে পৌঁছতে সেই সময় নিজের কাছে নিজেই তিনটি শর্ত রেখেছিলেন সুযশ। এক, সেনার দখলে থাকা যে এলাকা ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেখানকার কোনো ছবি না তোলা। দুই, এক দিনের মধ্যেই ফেরত আসা। তিন, নিজের সঙ্গে কোনো মূল্যবান জিনিস না রাখা। আর তাতেই সাফল্য এসেছিল। ওই অঞ্চলে টানা ছয় ঘণ্টা ছিলেন সুযশ। ‘কিংডম অব দীক্ষিত’-এ দাঁড়িয়ে পতাকা তোলেন তিনি। জায়গাটিকে নিজের দেশ হিসেবে দাবি করতে, সেখানকার মাটিতে শস্যদানা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সুযশ। কেন? সুযশের কথায়, ‘প্রাচীন সভ্যতায় কিছু নিয়ম ছিল। কোনো জমির মালিকানা দাবি করতে সেখানে ফসল ফলাতে হয় মালিককে। সে কারণেই আমি আমার দেশের জমিতে শস্য ছড়িয়ে, তাতে জল দিয়েছি। এ দেশ এখন আমার।’

নিজের আবিষ্কার করা ‘দেশ’-এর একটি ওয়েবসাইটও খুলেছেন সুযশ। তার কথায়, ‘এখন আমি রাজা। ঠাট্টা নয়, কেননা একটা গোটা দেশের মালিক এখন আমি। জাতিসংঘে এবার একটি ই-মেইল পাঠানোর সময় এসে গেছে এখন।’ বাবার জন্মদিনে দেশটির খোঁজ পেয়েছিলেন সুযশ। তাই, বাবা সুযোগ দীক্ষিতকেই ‘কিংডম অব দীক্ষিত’-এর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সুযশ। এটাই বাবাকে জন্মদিনে দেওয়া তার উপহার। তবে, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কোনো মতামত জানা যায়নি।