English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৭ ১৬:২৬

অনায়াসেই ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ গিলে ফেলেন তিনি

অনলাইন ডেস্ক
অনায়াসেই ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ গিলে ফেলেন তিনি

তার দেহের ভেতর দিয়ে অনায়াসেই প্রবাহিত হতে পারে ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ। শুধু তাই না, এই বিদ্যুৎ খেয়েই বেঁচে আছেন তিনি। আর এজন্য এই ব্যক্তিকে বলা হয় ‘দ্য হিউম্যান লাইট বাল্ব’ (মানব বাল্ব)। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা নরেশ কুমারের (৪২) ক্ষেত্রে এটাই সত্য।

রাজ্যের মুজাফফরনগরের এই বাসিন্দা জানান, তার দেহ মূলত বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। উচ্চ ভোল্টেজ প্রবাহিত হলেও কোনো ক্ষতি হয় না দেহের। অবশ্য মুখে বলেই নয়, কাজেও তার প্রমাণ দেখিয়ে দেন নরেশ। ১১ হাজার ভোল্টর জীবন্ত বৈদ্যুতিক তার মুখে নিয়ে অনায়াসে বসে থাকতে পারেন তিনি।

একটি হাসপাতালে মৃতদেহ গোসল করানোর কাজ করেন নরেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘যখনই ক্ষুধার্ত বোধ করি এবং ঘরে কোনো খাবার থাকে না; খোলা একটি জীবন্ত বৈদ্যুতিক তার মুখে নেই। আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমার ক্ষুধা মিটে যায়। আমি আর পাঁচটি খাবারের মতোই বিদ্যুৎ খাই।’

বর্তমানে পাঁচ সন্তানের বাবা নরেশ ছয় বছর আগে আবিষ্কার করেন, তার দেহ বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। তখন দুর্ঘটনাক্রমে তিনি বিদ্যুতের একটি জীবন্ত তার স্পর্শ করে বসেন। পরে দেখলেন, তাতে তার কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। ‘বিদ্যুৎখেকো’ এই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তখন আশ্চর্য হয়ে যাই। এর আগ পর্যন্ত আমি আমার এই দক্ষতা সম্পর্কে জানতাম না। এটা ভগবানের উপহার। আমি খুশি যে তিনি আমাকে এই গুন দিয়ে ধন্য করেছেন।’

বিভিন্ন সময়ে অবশ্য তাকে এই যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। সব পরীক্ষায়ই পাস করেছেন তিনি। এমনকি তার দেহে যখন বিদ্যুৎ চলাচল করে, তখন টেস্টার ধরলে সেটিতেও আলো জ্বলতে থাকে। এতে নরেশের কোনো যন্ত্রণা হয় না।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি খালি হাতে যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র ধরতে পারি। এতে কোনো ক্ষতি হয় না। বরং এটা আমার শক্তি বাড়িয়ে দেয়। আমার ধারণা, এই দেহের ৮০ ভাগই তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎ দিয়ে।’

নরেশের এই অনুপম গুন নিয়ে গর্ব করেন তার স্ত্রী শর্মিষ্ঠাও (৪০)। তিনি বলেন, ‘আমি আশ্চর্য যে বিদ্যুৎ তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না।’