English Version
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ১১:১৫

শাহরুখের সঙ্গে পলকের সেলফি

অনলাইন ডেস্ক
শাহরুখের সঙ্গে পলকের সেলফি

বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় তারকা শাহরুখ খান। তাকে ঘিরে দেশ বিদেশের মানুষের উন্মাদনা বিশেষ পর্যায়ের। ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তার ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এই দলে আছেন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে সম্মানিত হলেন শাহরুখ খান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী। সুযোগ পেয়ে সেখানে সেলফি পর্ব সেরে নিলেন শাহরুখ এবং জুনাইদ আহমেদ পলক।

ভারতে শিশু ও মহিলাদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করেছে শাহরুখের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মির ফাউন্ডেশন। গত সোমবার তারই স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২৪তম ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়েছে। এদিকে সেই অনুষ্ঠানে শাহরুখ খানের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটি নিজের ফেসবুক দেয়ালে পোস্ট করেছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম তারকা শাহরুখ খানের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে।’ 

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এই সম্মাননা অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিখ্যাত গায়ক ও সুরকার স্যার এলটন জন এবং অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেটও এবার সম্মানিত হয়েছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২৪ তম ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সম্মানিত হয়ে শাহরুখ বলেন, ‘আমি আপ্লুত। স্যার এলটন জন ও কেট ব্ল্যানচেটের মতো দুই ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্মানিত হওয়া আমার কাছে সৌভাগ্যের।'

মির ফাউন্ডেশন অ্যাসিড এবং আগুনে আক্রান্তদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য কাজ করছে। ফাউন্ডেশনের তরফে আক্রান্তদের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের জন্য দেওয়া হয় ভোকেশনাল ট্রেনিং। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তাও করা হয়। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ চাইল্ড কেয়ার ইউনিট ও ফ্রি বোর্ডিং সেন্টারের ব্যবস্থাও করে মির ফাউন্ডেশন।

এর আগে অমিতাভ বচ্চন, এ আর রহমান ও শাবানা আজমি এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন শাহরুখ খান। এই প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেন, ‘মির ফাউন্ডেশনের মহিলা ও শিশুদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ওরাও আমার পাশে ছিল সব সময়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এই খেতাব ওদের সাহসিকতার পরিচয়। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি আমার বোন, স্ত্রী ও মেয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমাকে সব সময় শিখিয়েছে জোর না করে কীভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়।'v