English Version
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ১৬:৫৩

হোয়াটস-অ্যাপের মাধ্যমে মহিলাদের ছবি পাঠিয়ে অবাধে চলছে দেহব্যবসা!

অনলাইন ডেস্ক
হোয়াটস-অ্যাপের মাধ্যমে মহিলাদের ছবি পাঠিয়ে অবাধে চলছে দেহব্যবসা!

সেক্স র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করল পাটনা পুলিশ৷ অগমকুয়া পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত গান্ধীনগর এলাকায় এই বেআইনী দেহব্যবসা চলছিল৷ পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দলের মূল পাণ্ডা অঞ্নী কুমার সহ তিন কলগার্লকে আপত্তিজনক অবস্থায় উদ্ধার করে৷ অঞ্জনী কুমার বিহারের ভোজপপুরের বাসিন্দা৷

পাটনার পুলিশ আধিকারিক মনু মহারাজ জানিয়েছেন, এই দলে ১৩ থেকে ২০ বছরের কিশোরীরাও রয়েছে।  যাদের বিহার, উত্তরপ্রদেশ, নেপাল পাঠানো হত৷ আটক মেয়েদের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর৷ মেয়েদর গ্রাহক প্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দেওয়া হত এবং দলের পাণ্ডা গ্রাহকের থেকে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা নিত৷ এছাড়াও মেয়েদের শহরের বাইরে পাঠানো হলে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা দেওয়া হত এবং গ্রাহকের থেকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হত৷

- Advertisement - পুলিশ গত শুক্রবার এই দলের সম্পর্কে জানতে পারে৷ পাটনা পুলিশ এসপি জয়ন্ত কান্তের নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করে৷ এই টিমে পাটনার ডিএসপি, অগমকুয়া থানার এসএইচও ও অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা ছিলেন৷ পুলিশ যে বাড়িতে এই ব্যবসা চলত সেখানে তল্লাশি চালায়৷ পুলিশ জয়পুরের বাসিন্দা রাজু কুমার, নালন্দার বাসিন্দা মুন্না কুমার ও অঞ্চনী কুমারকে গ্রেফতার করে৷

পুলিশের তল্লাশির সময় রাজু ও অঞ্নী কলগার্লদের সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় ছিল৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলভার, ১০টি বুলেট, কন্ডোমের প্যাকেট, পর্ন ফিল্মের সিডি, ওষুধ, অশ্লীল বই ও মদ উদ্ধার করে৷ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ এই দলের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অঞ্জনী জানিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধমে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত৷ ইমেল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মেয়েদের ছবি পাঠাতো৷ গ্রাহকের থেকে তার ঠিকানা নিয়ে মেয়েদের সেখানে পাঠিয়ে দিত৷ এই মামলায় তিন অভিযুক্তকে গ্রফতার করা হয়েছে এবং আগমকুয়া থানায় এই মামলার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷