English Version
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৭ ১৪:০৯

স্মার্টফোন কেড়ে নিচ্ছে কৈশোর ও তারুণ্যের আনন্দ

অনলাইন ডেস্ক
স্মার্টফোন কেড়ে নিচ্ছে কৈশোর ও তারুণ্যের আনন্দ

এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আগের প্রজন্মের চেয়ে শারীরিকভাবে অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ এদের পানাসক্তি নেই, ড্রাইভিংয়ে আসক্তি নেই; দৈহিক প্রয়োজনের দিক থেকেও এরা অনেক বেশি সংযমী। কিন্তু মানসিকভাবে অনেকখানিই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এরা, যার মূলে রয়েছে স্মার্টফোনে আসক্তি। খবর এনপিআর।   যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘দি আটলান্টিকে’ সম্প্রতি জাঁ তুয়েঁগের এক নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। নিবন্ধটি আসলে তার শিগগিরই প্রকাশ হতে যাওয়া বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ। নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘আইজেনদের সম্পর্কে বলা হয় যে, মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকে তারা কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’ আর এজন্য তিনি দায়ী করেছেন স্মার্টফোন আসক্তিকে।   এখনকার তরুণ-কিশোররা বন্ধুদের সঙ্গে আগেকার প্রজন্মের তরুণদের মতো বন্ধুত্বের গভীরে যেতে পারছে না বলে মনে করছেন তুয়েঁগ। একে অন্যের চোখে চোখ রেখে মুখোমুখি আড্ডা আর কথোপকথন হয় না বলেই তারা একে অন্যের গভীরে যেতে পারে না। ফলে প্রয়োজনীয় সামাজিক সহযোগিতাটাও সময়মতো আদায় করে নিতে পারছে না। অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, মানসিক সুস্বাস্থ্যের শ্রেষ্ঠ সূচক হলো অন্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর মাত্রা। একই সঙ্গে তা মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত জটিলতাগুলোর বিরুদ্ধে শ্রেষ্ঠ প্রতিকারও।   ৫-১০ বছর আগেকার তরুণদের চেয়ে আইজেন সদস্যদের মধ্যে উদ্বিগ্নতার প্রকোপ দেখা দেয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে এদের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে বেশি। এছাড়া আত্মহত্যা নিয়ে ভাবা বা এর চেষ্টা করার প্রবণতাও বেশ আশঙ্কাজনক।   মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ সেন্টারের ভাষ্য অনুযায়ী, মার্কিন তরুণদের মধ্যে একাকিত্বের ধারণাটা সবচেয়ে বেশি প্রবল হয়ে উঠতে শুরু করে ২০১২ সালের দিকে। ওই সময়ই যুক্তরাষ্ট্রে সেলফোনের প্রসার ঘটে সবচেয়ে বেশি। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোরও সবচেয়ে বেশি প্রসার হয় ওই সময়ই। কার্যকারণ সম্পর্ক দিয়ে এ দুয়ের সম্পর্ককে সরাসরি ব্যাখ্যা করা বেশ কঠিন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণাকে একত্র করে দেখা গেছে, স্মার্টফোন হাতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়তি সময় অপচয়ের সঙ্গে একাকিত্বের গভীর সংযোগ রয়েছে।