English Version
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০১৭ ১৭:১৩

মাইক্রোসফট ইন্সপায়ারে ১১৫ দেশের পার্টনার

মাইক্রোসফট ইন্সপায়ারে ১১৫ দেশের পার্টনার

প্রযুক্তি খাতে গ্রাহকসেবায় অভিনব উদ্ভাবনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মাইক্রোসফট ইন্সপায়ার আয়োজন করেছে মাইক্রোসফট। ক্লাউড প্রযুক্তি, সরকারি খাত, মাইক্রোসফট ফিলানট্রপিসসহ মোট ৩৪টি ক্যাটাগরিতে দক্ষ পার্টনার নির্বাচিত করা হয়েছে এবারের সম্মেলনে। উক্ত অ্যাওয়ার্ডে বিশ্বের ১১৫টি দেশ থেকে ২ হাজার ৮শ’র বেশি পার্টনার কোম্পানি থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অংশগ্রহণকারী পার্টনার কোম্পানিগুলো গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দক্ষতা, মার্কেটে তাদের সলিউশনের কার্যকারিতা এবং মাইক্রোসফট প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য ব্যবহার নিশ্চিত করেই উক্ত অ্যাওয়ার্ডে নিজেদের নাম তালিকাভুক্ত করে। মাইক্রোসফট কান্ট্রি পার্টনার ২০১৭-এ বাংলাদেশ থেকে উক্ত অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড। মাইক্রোসফট প্রযুক্তিভিত্তিক গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে অভিনব উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় বিশ্বমঞ্চে মাইক্রোসফট পার্টনার পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটিকে।   আয়োজনের মূল বক্তা হিসেবে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা বলেন, বিশ্বের সব মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে দক্ষ ও সক্ষমতায় গড়ে তোলার ব্যাপারে মাইক্রোসফট দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আর এজন্যই সব দেশের প্রায় সব খাতেই মাইক্রোসফট অন্যতম। প্রযুক্তির স্বার্থে প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা কোনোভাবেই অবহেলা করি না। আর এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গ্রাহকদের সাফল্যেই আমাদের সাফল্য। তিনি আরও বলেন, পার্টনারদের প্রতি আমাদের একনিষ্ঠতা ও প্রযুক্তির উত্কর্ষতা প্রযুক্তি খাতের জন্য উদাহরণস্বরূপ। এ ক্ষেত্রে মোবাইল-ফার্স্ট, ক্লাউড-ফার্স্ট বিশ্ব থেকে ইন্টেলিজেন্ট এজ ও ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউডে রূপান্তরের বিষয়টি উল্লেখ্যযোগ্য। এভাবেই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে নিয়ে আসা যাবে প্রতিটি জীবনে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে।   বিশ্বব্যাপী মাইক্রোসফট পার্টনারদের দ্বারা ১৭ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ৬৪ হাজার পার্টনার বর্তমানে ক্লাউডসেবা নিয়ে কাজ করছে। আর এভাবেই পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যত্ নির্মাণ করছে মাইক্রোসফট।   পার্টনার সম্মেলনে নতুন মাইক্রোসফট ৩৬৫ উন্মোচন করে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকদের নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল ও দলগত সক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়েছে মাইক্রোসফট। অফিস ৩৬৫, উইন্ডোজ ১০ এবং এন্টারপ্রাইজ মোবিলিটি ও সিকিউরিটি পণ্যের ক্ষেত্রে সহজ ও নিরাপদ প্লাটফর্মের প্রসার ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সৃষ্টিশীলতা ও দলগত সক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়ে মাইক্রোসফট ৩৬৫ তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ডিভাইস, অ্যাপস ও সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে কৌশলগত পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তথ্য থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদে। ডায়নামিক্স ৩৬৫ ও লিঙ্কডইন বিজনেস সলিউশনসের মাধ্যমে বিজনেস অ্যাপ্লিকেশনস থেকে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে  গেছে মাইক্রোসফট।