English Version
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০১৭ ১১:৩০

৩৫৪ রান তাড়া করে মাত্র ২ রানে হারলো বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
৩৫৪ রান তাড়া করে মাত্র ২ রানে হারলো বাংলাদেশ

আজ অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দিয়েছে টাইগাররা, এই হারে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই বরং প্রচণ্ড ফাইট করে জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ।   মাশরাফি যখন আউট হলেন; একাই দলকে জেতানোর চেষ্টা করলেন রিয়াদ। কিন্তু পারলেন না। বাংলাদেশ হেরে গেল ২ রানে। রিয়াদ ৭১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট একাদশের কাছে ২ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ একাদশ। বোলিংটা ভালো না হলেও এদিন ব্যাটিং প্র্যাকটিসটা মন্দ হয়নি টাইগারদের। সৌম্য, সাব্বির, মোসাদ্দেক, রিয়াদ এবং মাশরাফি রান পেয়েছেন। ম্যাশের ব্যাটিং কিন্তু দলের জন্য ইতিবাচক আবহ তৈরী করল।   ওয়ানডে সিরিজ উপলক্ষে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট একাদশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল প্রস্ততি ম্যাচে না খেলায় সৌম্য সরকারের সঙ্গী হয়েছেন ইমরুল কায়েস। প্রথম বলেই ইমরুল আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট ১১৬ রানের জুটি গড়েন সৌম্য আর সাব্বির। সৌম্য ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ দারুণ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করে কট বিহাইন্ড হয়ে যান। তবে এরপর বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন সাব্বির। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ১১ চার এবং ১ ছক্কায় ৭২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন।   সাব্বিরের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও। তিনি ২৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ খেলেছেন তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন। তবে ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ওভার বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৫৩ রানে প্যাভিলিয়েন ফিরতে হয় তাকে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন কেবল মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ আছেন। তিনি ২২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গী হন শুভাগত হোম। ২ রান করে শুভাগত আর ৫ রান করে সানজামুল ফিরে যাওয়ার পর শুরু হয় আসল খেলা।   রিয়াদের সঙ্গী হন ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে ঝড় বয়ে যায়। ২৮ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তাকে থামানো যাচ্ছিল না। জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থাকতে ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে আউট হন মাশরাফি। একা হয়ে যান রিয়াদ। ১ বলে দরকার ছিল ৪ রানের। একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেননি। তিনি নিজে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন।  ৩৫২ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।