English Version
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৪:৫৭

মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর উড়ালসড়ক খুলবে ১৫ অক্টোবর

অনলাইন ডেস্ক
মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর উড়ালসড়ক খুলবে ১৫ অক্টোবর

মালিবাগ-মৌচাক সমন্বিত উড়ালসড়ক যান চলাচলের জন্য ১৫ অক্টোব খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার উড়াল সড়কের এখন চলছে ধোয়ামোছা, রং, বিদ্যুতের খুঁটি ও বাতি লাগানোর মতো শেষ পর্যায়ের কাজ।

এছাড়া সমন্বিত এ উড়াল সড়কের নিচের সড়কের সংস্কার কাজও কোনো কোনো স্থানে শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উড়াল সড়কটির প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়াল সড়কটি উদ্বোধন করবেন। উড়ালসড়কটিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগামী ১৫ অক্টোবর।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, উড়ালসড়কের নিচের সড়ক ও ফুটপাতের সংস্কারকাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উড়ালসড়ক উদ্বোধনের আগেই নিচের সড়কের সংস্কারকাজও শেষ করা হবে। চার লেনের উড়ালসড়কটি ছয়টি মোড় অতিক্রম করেছে। এগুলো হলো সাতরাস্তা, বিএফডিসি, মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগ মোড়। এর মধ্যে মগবাজার, মালিবাগ ও কারওয়ান বাজারে রেললাইন অতিক্রম করেছে এই উড়ালসড়ক প্রকল্প।

ওই উড়ালসড়কটি তিন ভাগে করা হয়েছে। একটি অংশ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল। এটা নির্মাণ করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। গত বছরের মার্চ মাসে এ অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত উড়ালসড়কের এক দিক খুলে দেয়া হয়। এই অংশ নির্মাণ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন।

তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মোড় থেকে কারওয়ান বাজার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় গত ১৭ মে। এই অংশও তৈরি করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। এখন খুলে দেয়ার অপেক্ষায় আছে উড়ালসড়কের মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ। এটা নির্মাণ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন।

এলজিইডি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সমন্বিত উড়ালসড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়।

প্রথমে এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যয় বাড়তে বাড়তে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা দিয়েছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)।

দেশে এখন পর্যন্ত যে কয়টি উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, তার মধ্যে মৌচাক-মালিবাগ উড়ালসড়কটি দৈর্ঘ্যে দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়ক (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী)।