English Version
আপডেট : ৪ মার্চ, ২০১৭ ১১:৩৩

গাবতলীতে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের মামলায় আরও ১৩০০ আসামি

অনলাইন ডেস্ক
গাবতলীতে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের মামলায় আরও ১৩০০ আসামি

রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিন মামলার পরও আরও দুটি মামলা হয়েছে। ফলে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এখন মামলার সংখ্যা হলো পাঁচটি।

রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ১৩০০ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে এ দুটি মামলা করা হয় বলে জানান থানার এসআই নওশের আলী ভূইঞা।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নতুন দুই মামলার একটি সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানার এসআই মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে করেছেন। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারশ থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আর সংঘর্ষের মধ্যে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলা করেছেন এসআই এলিট মাহমুদ। এ মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে আসামি অজ্ঞাত পরিচয় সাতশ থেকে আটশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওইদিনের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে জানিয়ে এসআই নওশের আলী বলেন, এর মধ্যে চারটি মামলার বাদী পুলিশ; আর একটির বাদী এক নারী।

আগের তিন মামলার দুটি দারুস সালাম থানার এসআই মো. জুবায়ের ও এসআই বিশ্বজিৎ পাল বাদী হয়ে দায়ের করেন। অন্য মামলাটি করেন ফেরদৌসী (৩০) নামের মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা এক নারী।

প্রথম তিন মামলায় আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নেতাসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশের করা এক মামলায় সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইনে।

 

অন্যদিকে ফেরদৌসীর করা তৃতীয় মামলায় মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন এসআই নওশের।

দুই চালকের সাজার রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরুর পর মঙ্গলবার রাতে পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকার গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

 

রাতভর দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর বুধবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ নতুন মাত্রা পায়। এক পর্যায়ে আমিন বাজার সেতুর দক্ষিণ দিক থেকে মাজার রোডের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঢাকার অন্যতম প্রধান এই প্রবেশ পথে যান চলাচল বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময়।

 

এ সময় সংবাদ মাধ্যমে গাড়ি, পুলিশের রেকারসহ বিভিন্ন যানবাহন হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয়। সংঘর্ষের মধ্যে আহত এক শ্রমিক পরে হাসপাতালে মারা যান।

 

শাহিনুর নামে এসআই পরিবহনের চালকের এই সহকারীর মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম তিন মামলার কোনোটির এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি।