টানা তৃতীয়বারের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শিনজো আবে। দেশটির পার্লামেন্টের ৪৬৫টি আসনের মধ্যে ৩১২টি আসনে জয় পেয়েছে আবের নেতৃত্বধীন ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও তাদের শরিক কুমেতো। 

এলডিপি থেকে বের হয়ে টোকিওর প্রথম নারী গর্ভনর ইরিকো কইকে নেতৃত্বাধীন কিবো নো তো (আশার দল) পার্টি পেয়েছে ২৯টি আসন, কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (সিডিপি) ৩৩টি, কমিউনিস্টি পার্টি পেয়েছেন ৭ ‍টি আসন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই দেশটিতে সর্বাধিকবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে ইতোমধ্যে শিনজো আবেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ আসনের চেয়ে তার দল বেশি আসন পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত আগ্রাসী, দেশের অর্থনৈতিতে ধস,মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট নিয়ে জনগণের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হয়ে পড়লে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এবারের নির্বাচনে শিনজো আবে বয়স্কদের জন্য সুরক্ষা ও উত্তর কোরিয়াকে দমন করার প্রত্যয়ে প্রচারণা চালান।

জয়ের পর শিনজো আবে সাংবাদিকদের বলেন, আমি নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, নির্বাচনে জয়ের পর আমার প্রধান কাজ হবে উত্তর কোরিয়াকে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করা। যেজন্য, শক্তিশালী কূটনীতি প্রয়োজন।

৭৩ বছর বয়সী শিনজো আবে ১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মতো এলডিপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে নির্বাচিত হন।