English Version
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ১৪:০৪

বল এখন ট্রাম্পের কোর্টে : উন

অনলাইন ডেস্ক
বল এখন ট্রাম্পের কোর্টে : উন

যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি দেখতে চান, যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেয়। সেই পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করেই পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন উন। গতকাল মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা (কেসিএনএ) এ কথা জানিয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেছেন, তিনি যেকোনো উপায়ে যুদ্ধ এড়াতে চান। আর দক্ষিণ কোরিয়ার অনুমতি ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় কোনো সামরিক হামলা হবে না।

পিয়ংইয়ংয়ের (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) সঙ্গে ওয়াশিংটন ও সিউলের বিরোধ গত কয়েক মাসে চরম আকার ধারণ করেছে। এর মূলে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। গত ৫ আগস্ট জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর সপ্তম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর রীতিমতো মারমুখী হয়ে ওঠে উত্তর কোরিয়া। বলা হচ্ছে, এটিই হলো জাতিসংঘের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। আর এই নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে কঠিন অংশটি গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাস্তবায়ন শুরু করেছে চীন।

উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় এই মিত্র রাষ্ট্রটি গতকাল থেকে পিয়ংইয়ং থেকে সামুদ্রিক খাবার এবং খনিজ পদার্থ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর পরই কেসিএনএ হুমকি দেয়, গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। কিম জং উন সিদ্ধান্ত নিলেই যেকোনো সময় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রও গোলাবারুদ নিয়ে প্রস্তুত আছে। ’

কিন্তু গতকাল কেসিএনএ আরেকটি খবরে জানায়, গুয়ামে হামলার সিদ্ধান্ত থেকে কিম জং উন আপাতত সরে এসেছেন। গতকাল উনের সামনে গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ‘উন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে হটকারী সিদ্ধান্ত নিলে আমরাও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত; যে সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়ে গেছে। ’

কেসিএনএর খবরে কয়েকটি ছবিও দেওয়া হয়। যেখানে উনকে দেখা যাচ্ছে, একটি সরু লাঠি হাতে নিয়ে মানচিত্রে হামলার রুট চিহ্নিত করছেন।

উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানঘাঁটি এবং একটি নৌঘাঁটি রয়েছে। কৌশলগত এই বোমারু বিমানঘাঁটিতে আছে সাবমেরিন ও কোস্ট গার্ড ইউনিটও। সেখানে হামলা চালাতে হলে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে হবে। আর গুয়ামে পৌঁছাতে জাপান পাড়ি দিতে হবে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। সে ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেছেন, যেকোনো মূল্যে তিনি যুদ্ধ এড়াতে চান। গতকাল তিনি বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত শুধু দক্ষিণ কোরিয়াই নিতে পারে। অন্য কারো এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। ’

তিনি আরো বলেন, ‘সংকট সমাধানে সম্ভাব্য সব উপায়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ ঠেকানো হবে। ’ সূত্র : রয়টার্স।