English Version
আপডেট : ২০ মে, ২০১৭ ১১:৪৪

জাকির নায়েককে সৌদির নাগরিকত্ব প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
জাকির নায়েককে সৌদির নাগরিকত্ব প্রদান

সন্ত্রাসবাদে উস্কানির অভিযোগে ভারতে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত বিতর্কিত টিভি বক্তা জাকির নায়েককে নাগরিকত্ব দিয়েছে সৌদি আরব। লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, জাকির নায়েককে ইন্টারপোল যাতে গ্রেফতার করতে না পারে সেজন্য সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ তার নাগরিকত্ব অনুমোদন করেন।

ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় গতবছর জঙ্গি হামলায় জড়িতদের মধ্যে অন্তত দু'জন জাকির নায়েকের বক্তৃতা শুনে জঙ্গিবাদে উদ্বুদধ হয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ভারত। উগ্রবাদী বক্তব্য প্রচারসহ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ওই সময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ভারত সরকার। ভারতে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ করা হয় তার পিস টিভির সম্প্রচার। তরুণদের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে ভেড়ানোর অভিযোগে তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ। সেই সময় সৌদি আরবে থাকা জাকির নায়েক আর ভারতে ফেরেননি।

ভারতের কয়েকজন মুসলমান পণ্ডিত জাকির নায়েককে ‘সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতায় ওহাবি মতবাদ প্রচারকারী’ হিসেবে সন্দেহের চোখে দেখেন। অন্যদিকে সৌদি আরব সরকার তাকে ‘ইসলামের সেবক’ বিবেচনা করে ২০১৫ সালে ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ দেয়।

মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, ভারতের একটি আদালত মুদ্রা পাচারের এক মামলায় গত মাসে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সে সময় মালয়েশিয়া সফরে ছিলেন এই টিভি বক্তা। পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়া সরকার দেশটিতে তাকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, জাকির নায়েকের পাসপোর্ট প্রত্যাহার এবং তাকে ধরার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে ইন্টারপোলকে অনুরোধ করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

১৯৬৫ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া জাকির নায়েক কিষানচাঁদ চেলারাম কলেজের পর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিষয়ে লেখাপড়া করেন। পরে বিওয়াইএল নায়ার চ্যারিটেবল হাসপাতালেও তিনি লেখাপড়া করেন। ১৯৮৭ সালে ইসলামী বক্তা আহমেদ দিদাতের সংস্পর্শে আসেন নায়েক। এর কয়েকবছর বাদে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করেন ধর্ম প্রচারের কাজ। ভারতের আল্লামা সাইয়্যিদ খালিক সাজিদ বোখারী কয়েক বছর আগে জাকির নায়েকের বিপক্ষে একটি বই লেখার পর বাংলাদেশেও হক্কানি আলেমরা তার সমালোচনায় মুখর হন।