English Version
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৭:৫১

কিডনির সুরক্ষায় খেতে হবে এই খাবারগুলো

অনলাইন ডেস্ক
কিডনির সুরক্ষায় খেতে হবে এই খাবারগুলো

বায়ুদূষণের কারণে বিকল হচ্ছে কিডনি! সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুসারে দূষণের মাত্রা যাই হোক না কেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাদান শরীরের অন্দরে প্রবেশ করা মাত্রই তা আক্রমণ করছে কিডনিকে। ফলে ধীরে ধীরে কমছে কিডনির কর্মক্ষমতা।

আর পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু সংকটের এই কালে তা যে আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে তা বলাই বাহুল্য। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসে গেছে বন্ধুরা। এখনই যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!

এখন প্রশ্ন হলো এমন বিষ বাষ্পের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিডনিকে রক্ষা করা কি আদৌ সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। তবে তার জন্য প্রতিদিন কতগুলি খাবার নিয়ম করে খেতে হবে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলো কিডনি ফাংশন ঠিক রাখতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তেমনি কিডনির অন্দরে জমতে থাকা খাদ্যবিষকেও বের করে দিতেও সাহায্য করে।

কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাধারণত যে যে খাবরগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হলো...

১. চেরি ছোট্ট ফুলটির শরীরে থাকা ভিটামিন সি, কে, ফলেট, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিট্রেট কিডনির চারিপাশে একটি প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করে দেয়। ফলে যেকোনো ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, যে হারে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে এই ফলটি যে আপনাকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

২. জাম সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে জামের রস নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ইউ টি আই সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটে।

প্রসঙ্গত, কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৩. দারুচিনি জনপ্রিয় এই মশলাটি নানাভাবে কিডনির উপকারে লেগে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে দারুচিনি, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে একদিকে যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, তেমনি কিডনির যাতে কোনও ভাবে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

৪. শিম কয়েক দশক ধরে কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় এই সবজিটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আসলে শিমে থাকা নানাবিধ উপকারী উপাদান কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বর্তমান পরিস্থিতিতে শিম দিয়ে তৈরি নানা পদ না খেয়ে কোনও উপায় নেই। প্রসঙ্গত, শিম সেদ্ধ করে সেই পানি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে কিডনি স্টোনের কারণে হওয়া কষ্ট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. অলিভ অয়েল এই তেলটিতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সহ নানাবিধ উপকারি উপাদান, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্রনিক কিডনি ডিজিজের লক্ষণ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন যে, সাধারণত যে তাপমাত্রায় আমরা, মানে বাঙালিরা রান্না করে থাকি, সেই তাপমাত্রায় অলিভ অয়েলকে গরম করলে কিন্তু শরীরে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কোন কোন পদ অলিভ অয়েলে বানানো সম্ভব, তা একবার জেনে নেবেন।

৬. পিঁয়াজ এবং রসুন বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পিঁয়াজ এবং রসুনে থাকা কুয়েরসেটিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিডনিকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এমন পরিস্থিতে পিঁয়াজ-রসুনের যুগলবন্দী যে শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা বলাই বাহুল্য! সূত্র : বোল্ডস্কাই