অনেক সময় আমাদের তাৎক্ষণিক শক্তির প্রয়োজন হয়। এ জন্য কয়েকটি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা আপনাকে দ্রুততম সময়ে শক্তি সরবরাহ করবে এবং রিফ্রেশ ও পুনরুজ্জীবিত করবে।

পানি

পানি পান করে দেহকে আর্দ্র রাখার মাধ্যমে শক্তির যোগান দেওয়া যায় সবচেয়ে সহজে। সবসময় সঙ্গে একটি পানির পাত্র রাখুন। এবং সারাদিন ধরে পানি পান করুন ও দেহকে উজ্জীবিত রাখুন।

কলা

এতে রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রাকৃতিক সুগার, অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কলা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে নর-এপাইনফ্রাইন নামের একটি হরোমান নিঃসরিত হয়। যা তাৎক্ষণিভাবে দেহের শক্তি বাড়ায়। এছাড়া রক্তচাপও বাড়ায়। ফলে তাৎক্ষণিকভাবেই ক্লান্তি কেটে যায়। একটি কলায় ৮০ থেকে ১২০ কিলোক্যালোরি থাকে।

বাদাম

যখনই আমাদের তাৎক্ষণিক শক্তির দরকার হয় তখনই একমুঠো বাদাম হতে সেরা স্ন্যাকস। বাদামে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, আঁশ এবং ম্যাগনেশিয়াম, ফলিক এসিডের মতো খনিজ পুষ্টি উপাদান আছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শক্তি ও কোষ উৎপাদনে জরুরি সহায়ক।  তবে প্যাকেটজাত বাদাম খাওয়া উচিত নয়। কেননা তাতে অতিরিক্ত লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর তেল থাকে।

পাতাবহুল সবুজ সবজি

দিনের মধ্যভাগে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তির যোগানের জন্য সবজি সবচেয়ে ভালো অপশন। কারণ সবজিতে ক্যালোরি থাকে খু্বই কম এবং তা আঁশ ও খনিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। স্পিনাক, বাধাকপি এবং গাজর হজমে সময় লাগে অনেক। ফলে পেটও ভরা থাকে দীর্ঘক্ষণ।

ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এছাড়া আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামাইনো এসিডের সবকটিই আছে এতে। আরো আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ডি। সারদিন ধরে শক্তির যোগান দিতে সক্ষম ডিম। সুতরাং হালকা নাস্তার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!

অ্যাভোকাডো

এটি একটি সুপার ফুড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, সি, কে, খনিজ পুষ্টি এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা হজম করতেও দীর্ঘ সময় লাগে। এর উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ উপাদান আমাদেরকে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখে। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় খেলে সারাদিন ধরে দেহে চার্জ থাকে।

ডার্ক চকোলেট

চকোলেট উচ্চ শক্তিবর্ধক এবং মুড-বুস্টার। এতে আছে ক্যাফেইন এবং থ্রিওব্রোমিন ও ট্রিপটোফ্যান এর মতো উদ্দীপক উপাদান। যা মনকে রিল্যাক্স করে।